তবে জনসাধারণের সুবিধার্থে সাধারণ ছুটি চলাকালে কাঁচাবাজার, ফার্মেসি, হাসপাতাল, মুদি মালের দোকান ও অতি জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিল্পসচিব আব্দুল হালিম জানান, সরকার ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল সব ধরনের অফিস বন্ধ রাখার কথা বলেছে। এর আওতার বাইরে থাকবে খাদ্যপণ্য, ওষুধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। তবে অবশ্যই খোলা রাখার সময় করোনার সংক্রমণ থেকে বাঁচতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে শতভাগ সতর্কামূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো কম্প্রোমাইজ বা ছাড় দেয়া যাবে না।
এদিকে বুধবার (২৫ মার্চ) শিল্প মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক ২৪ মার্চ প্রদত্ত প্রেস বিজ্ঞপ্তির ৪ নম্বর নির্দেশনা অনুসারে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার কর্তৃক ঘোষিত সাধারণ ছুটি চলাকালে ওষুধ/খাদ্য প্রস্তুত, ক্রয়-বিক্রয়সহ অন্যান্য শিল্প কারখানা/প্রতিষ্ঠান/বাজার/দোকানপাট নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চলবে।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি জানিয়েছে, ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বিপণিবিতান বা শপিং মল বন্ধ থাকবে। তবে এ সময় কাঁচাবাজার, মুদি দোকান, ওষুধের দোকার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকানগুলো ছাড়া সব বন্ধ থাকবে বলে জাগো নিউজকে জানান সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন।
অর্থাৎ এ সময়ে শপিং মল, দোকানপাট, রাস্তার পাশের চা দোকান, সেলুন, হোটেল-রেস্তোরাঁ ইত্যাদি বন্ধ থাকবে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সাধারণ ছুটির সময়ে সড়কে বাস, মিনিবাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা এবং হিউম্যান হলার চলবে না। এছাড়া এ সময়ে রাইড শেয়ারিং সেবাও বন্ধ থাকবে।
তবে এ সময়ে ওষুধ, জ্বালানিসহ প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহে ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান সড়কে চলবে।
২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে পাঁচ দিন খোলা থাকবে ব্যাংক। এ সময় ব্যাংকিং লেনদেন হবে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। আর ব্যাংক খোলা থাকবে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত।