সোমবার (১৪ জুন০ কোম্পানিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এবং মেক্সিকোর প্রায় ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে দেওয়ার মাধ্যমে তাদের তৈরি টিকার ট্রায়াল চালানো হয়। এতে যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বের অন্যত্র টিকার জরুরি অনুমোদন পেতে নোভাভ্যাক্সের আবেদনের পথ তৈরি হলো।
নোভাভ্যাক্সের রিসার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট প্রধান ডা. গ্রেগরি গ্লেন রয়টার্সকে বলেন, ‘ট্রায়ালে তাদের তৈরি টিকা ব্রাজিল, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হওয়া করোনার ধরনগুলো শনাক্তের সক্ষমতা দেখিয়েছে। সব ধরনের সংক্রমণ ঠেকাতে টিকাটি কার্যকর।’
গ্লেন বলেছেন, ‘ট্রায়ালে তাদের টিকা উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা স্বেচ্ছাসেবীর ক্ষেত্রে সংক্রমণ ঠেকাতে ৯১ শতাংশ এবং প্রতিরোধযোগ্য মাঝারি ও গুরুতর কোভিড রোগীদের ক্ষেত্রে সংক্রমণ ঠেকাতে শতভাগ কার্যকর। যে ধরন শনাক্ত করতে পারেনি তাতেও ৭০ শতাংশ কার্যকর।’
মার্কিন এই ভ্যাকসিন নির্মাতা কোম্পানিটির গবেষণা বিভাগের প্রধান করোনার নতুন ধরনগুলোর প্রসঙ্গে বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে বলতে গেলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, করোনার যে ধরনগুলো বিশ্বজুড়ে তার বিস্তারের আধিপত্য দেখাচ্ছে এই টিকা তা ঠেকাতে সক্ষম।’
১৮ বছরের বেশি বয়সী প্রায় ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবীকে অন্তর্ভুক্ত করে গত ডিসেম্বরের শেষদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোতে নোভাভ্যাক্সের টিকার তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়। তার আগে প্রায় ১৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর ওপর যুক্তরাজ্যে এক টিকার ট্রায়াল শুরু হয়।
মডার্না ও ফাইজারের টিকা মেসেঞ্জার আরএনএ প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করে তৈরি হলে নোভাভ্যাক্সের টিকা প্রোটিননির্ভর। নোভাভ্যাক্স বলছে, তাদের টিকার দুটি ডোজের ব্যবধান হবে তিন সপ্তাহ। এই টিকা ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা যাবে।