তিনি বলেন, বর্তমানে ডিজিটাল ডিভাইসের দেশীয় চাহিদার ৭৫ শতাংশ আমরা নিজেরাই পূরণ করছি। শিগগির দেশের ডিজিটাল ডিভাইসের শতভাগ চাহিদা পূরণ করে আমরা বিদেশেও পুরোদমে রফতানি করব।
সোমবার (১৪ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে ‘হাই-টেক পার্কের চলমান কার্যক্রম : চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ বিষয়ে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
ইতোমধ্যে কালিয়াকৈরের বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিতে উৎপাদিত আইওটি ডিভাইস বিদেশে রফতানি হয়েছে। খুব অল্প সময়েই সেখানে আরও বেশ কিছু কোম্পানি উৎপাদন শুরু করবে বলেও জানান তিনি।
সেমিনারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম বলেন, বাংলাদেশে টেকসই হাই-টেক ম্যানুফ্যাকচারিং ইকোসিস্টেম নির্মাণের এখনই উপযুক্ত সময়। এখানে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে। কোভিড-১৯ পরবর্তী বৈশ্বিক যে মন্দার ঝুঁকি রয়েছে, তা কাটিয়ে উঠতে শ্রম-নির্ভর অর্থনীতি যথেষ্ট নয়।
তিনি বলেন, চলমান পরিস্থিতিতে যেসব দেশ জ্ঞান-ভিত্তিক ও প্রযুক্তি নির্ভর শিল্পের বিকাশে মনোনিবেশ করছে, তারাই এফডিআই আকৃষ্ট করতে সামর্থ্য হবে। এই বাস্তবতা উপলব্ধি করে, প্রযুক্তিভিত্তিক অবকাঠামো উন্নয়নে শুরু থেকেই নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ।
সেমিনারের আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের যুগ্ম-সচিব মো. আখতারুজ্জামান, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পরিচালক (যুগ্ম-সচিব) এ এন এম সফিকুল ইসলামসহ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং এর আওতাধীন দফতর সংস্থার কর্মকর্তারা।