আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় ফতোয়া বোর্ড জানায়, করোনাভাইরাস গোটা পৃথিবীতে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে এ ভাইরাসে। ইসলামী আইনের অন্যতম একটি উদ্দেশ্য হল, মানুষের জীবন বাঁচানো এবং যাবতীয় বিপদাপদ থেকে সবাইকে রক্ষা করা। এই বৃহৎ লক্ষ্যকে সামনে রেখেই প্রতিটি মুসলিম দেশের রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তাদের মসজিদে সম্মিলিত নামাজ আদায় এবং জুমার নামাজের ব্যাপারে বিধিনিষেধ আরোপের অনুমতি রয়েছে।
ফতোয়ায় আরও বলা হয়, মানবজীবন সুরক্ষার জন্য এ মুহূর্তে সব ধরনের সভা-সমাবেশ ও দোয়া অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করা উচিত।
বিশেষ করে বলা হয়, যারা বয়োবৃদ্ধ, তারা নিজেদের ঘরেই নামাজ আদায় করবেন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ও জুমার নামাজে অংশ নেয়ার জন্য মসজিদে যাবেন না। জনসমাগমের কারণে মসজিদে জামাতে নামাজ আদায়ও ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণ হতে পারে বলে ফতোয়াটিতে উল্লেখ করা হয়।
এর আগে পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ডা. আরিফ আলভি দেশটিতে নিযুক্ত মিসরীয় রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ও দেশটির গ্রান্ড মুফতি ড. আহমাদ তাইয়্যেবের কাছে এ বিষয়ে পরামর্শ চান।
চলমান ভয়াবহ পরিস্থিতিতে মুসলিম দেশগুলোর করণীয় কী হবে, তারা মসজিদে গিয়ে জামাতে নামাজ পড়বে কি পড়বে না, এ সম্পর্কে একটি ফতোয়া জারির আবেদন জানান তিনি। তারই প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির উচ্চপদস্থ বিজ্ঞ আলেমরা করোনাভাইরাস সম্পর্কিত এ ফতোয়াটি জারি করেন।
উল্লেখ্য, করোনায় আক্রান্ত হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ২৪ হাজার ৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে এক লাখ ২৩ হাজার ৯৪২ জন। এখন পর্যন্ত করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে। এর আগ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ছিল চীনে।