বুধবার (১৬ জুন) দুপুরে অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে আজকের অর্থনৈতিক সংক্রান্ত সভায় একটি এজেন্ডা এবং ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির সভায় ১২টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
মুদ্রপাচার নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মুদ্রাপাচার নিয়ে প্রথমে কিছু কাজ করা প্রয়োজন। আমরা সিস্টেম দিয়ে জানতে পারি কারা এগুলো করছে, সিস্টেম দিয়ে সেগুলো আইডেন্টিফাই করা হলে আমাদের ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হবে। দ্বিতীয়ত হচ্ছে কী কী কারণে মুদ্রাপাচার হচ্ছে- একটি হচ্ছে আমাদের এখানে কিছু কিছু মানুষ আছে যারা আরও বেশি করে বিদেশে মুদ্রাপাচারের চেষ্টা করে। আমরা যদি ইনভেস্টমেন্টের ভালো সুযোগ তৈরি করতে পারি, তুলনামূলকভাবে যদি বেশি লাভ করার সুযোগ থাকে তাহলে কেউ বিদেশে টাকা দেবে না। এদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এরা অন্যায় করবে, আবার টাকা পাচার করার চেষ্টা করবে বিদেশে ব্যয় করার জন্য। আমরা চেষ্টা করব ওদেরকেও ট্র্যাক করে সিস্টেমের মধ্যে নিয়ে আসতে এবং আইনি ব্যবস্থা নিতে।’
তিনি বলেন, ‘দেখেছি কীভাবে টাকা পাচার হয়, বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা এটি জানি। যারা টাকা পাচার করছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়, সেগুলো অনেক পেন্ডিং আছে। কিন্তু সেগুলো যদি দ্রুত নিষ্পত্তি করা যায় তাহলে অনেককে অন্যায় থেকে বিরত রাখা যাবে। অনেকেই জেলে আছে, অপরাধ একটাই টাকা পাচার করেছে। তাদের লেনদেনে কোনো ব্যত্যয় ছিলে বলেই তারা জেলে।’
আগামী ৬ মাস থেকে ১ বছরের মধ্যে মুদ্রাপাচার, মানি লন্ডারিংয়ের মতো ১৫টি আইন সংসদে আনার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যেগুলো সংসদে আনা হবে তার মধ্যে কিছু নতুন আইন এবং কিছু সংশোধনী। ১৪ তারিখে দুটি বিল আমি অলরেডি সংসদে নিয়ে গেছি। আমাদের লেনদেনগুলো ম্যানুয়াল না, এখন লেনদেন ডিজিটাল। এই লেনদেনগুলো আগে ম্যানুয়াল ছিলে, সেগুলো ডিজিটাল পদ্ধতিতে নেয়ার জন্য একটি আইন, আরেকটি হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের একটি আইন নিয়ে এসেছি।’