শুক্রবার (১৮ জুন) তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ের সময় তিনি এ কথা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির হত্যা, খুন ও সন্ত্রাসের রাজনীতি দেশকে পিছিয়ে দিয়েছিল। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি নেতাদের বক্তব্য শুনলে মনে হয় বাংলাদেশের মানুষ নরক যন্ত্রণার মধ্যে আছে। বৈশ্বিক শান্তি সূচকে বাংলাদেশ গতবারের চেয়ে সাত ধাপ এগিয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির হাতে ক্ষমতা গেলে দেশ আবার অন্ধকারে তলিয়ে যাবে। আবারও লাশের পাহাড় হবে। প্রতিশোধ প্রবণ বিএনপি ক্ষমতা পেলে দেশে রক্তের বন্যা বইয়ে দেবে। সাম্প্রদায়িক ও সহিংসতার পৃষ্ঠপোষক বিএনপির হাতে দেশ ও দেশের মানুষ নিরাপদ নয়।
সেতুমন্ত্রী বলেন, এখন দুটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। প্রথমটি করোনা ও দ্বিতীয়টি হচ্ছে উগ্র সাম্প্রদায়িকতা। করোনা প্রতিরোধের পাশাপাশি উগ্র সাম্প্রদায়িকতাও মোকাবিলা করতে হবে।
আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ওবায়দুল কাদের দলের পক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা করেন। ২৩ জুন সূর্যোদয় ক্ষণে কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশের সব কার্যালয়ে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
একই দিন সকাল ৯টায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। ২৩ জুন বিকেল ৩টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আলোচনা সভা। সভায় গণভবন প্রান্ত থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলোতে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে।
আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিআরআইয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার প্রচারণা চালানো হবে এবং বিশেষ ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী সারাদেশে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুরূপ কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে দিবসটি পালনের আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, মহামারি করোনার কারণে যথাযথভাবে আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করতে পারছি না। তবে ঘরোয়াভাবে সীমিত আকারে অনুষ্ঠান কাটছাঁট করতে হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সব পর্যায়ের শাখার সংগঠনগুলোকে বিশেষ করে মহানগর, জেলা, উপজেলা, থানা ও ওয়ার্ডের সংগঠনগুলোকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে পালন করার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যেখানে সাংগঠনিক সমস্যা আছে সেখানে নিজ নিজ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। আওয়ামী লীগের যেসব কমিটি ইতোমধ্যেই গঠিত হয়েছে, সেসব কমিটি নিয়ে কারো কোনো অভিযোগ থাকলে ধানমন্ডির দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ জমা দিতে পারবেন।