সোমবার (২১ জুন) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এমনটি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ভিশনস্প্রিং এর গবেষাণাটি বয়স্কদের বিশেষত মোবাইল ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে আর্থিক সেবার সহজলভ্যতা ও ব্যবহার বৃদ্ধিতে চশমার প্রভাব বুঝতে এই ট্রায়ালটিতে কাজ করবে। এই গবেষণা পরিচালনায় (ENGINE) ওয়েলকাম ট্রাস্ট এবং চেন ইয়াত-সেন ফ্যামিলি ফাউন্ডেশন ৩ দশমিক ৬ মিলিয়ন পাউন্ড অর্থায়ন করবে। যুক্তরাজ্যের কুইনস ইউনিভার্সিটি বেলফাস্টের (কিউইউবি) অধ্যাপক নাথান কংগডন এবং ভারতের এলভি প্রসাদ আই ইনস্টিটিউটের (এলভিপিইআই) অধ্যাপক রোহিত খান্না গবেষণাটিতে নেতৃত্ব দিবেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পৃথিবীর ২২০ কোটি মানুষ দৃষ্টি সমস্যায় ভুগছে। আইকেয়ার নারচার গুড হেলথ (Eyecare Nurtures Good-health), ইনোভেশন (Innovation), ড্রাইভিং সেফটি (driving-safety) এবং এডুকেশন (Education), এই চার ধাপের গবেষণার মাধ্যমে দেখা হবে কিভাবে সাশ্রয়ী, কার্যকর এবং সহজলভ্য উপায় - চশমার মাধ্যমে রাস্তায় দুর্ঘটনা কমানো, শেখার হার বৃদ্ধিকরণ, দৃষ্টিশক্তি কমাকে নিয়ন্ত্রণ করা এবং বৃদ্ধ অবস্থায় আর্থিক সচ্ছলতা উন্নিতকরণের মাধ্যমে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।
জানা যায়, থ্রিফট (THRIFT) (ট্রান্সফরমিং, হাউজহোল্ড উইথ রিফ্রাকশন, এন্ড ইনোভেটিভ ফাইনান্সিয়াল টেকনোলজি) ট্রায়ালটি সরকারি বয়স্ক ভাতা গ্রহীতাদের মাঝে স্মার্টফোনের ব্যাংকিং অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করার জন্য বিনামূল্যে প্রদান করা চশমাগুলোর প্রভাব কেমন তা গবেষণা করবে। এই গবেষণাটির মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গৃহীত বয়স্কদের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে বয়স্কভাতা প্রদানের কার্যক্রমকে আরও ডিজিটালাইজড করতে সহায়তা করবে। বিশ্বব্যাংকসহ দেশের অন্যান্য সংস্থা প্রবীণদেরকে সামাজিক সুরক্ষা ভাতা প্রদানে ই-ব্যাংকিং ব্যবহারের মডেলকে অনুসরণ করতে পরামর্শ দিচ্ছে। তবে এটি তখনই সুফল বয়ে আনবে যখন দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার সমস্যাকে সফলভাবে মোকাবিলা করা যাবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ফ্লোরিডা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান, গুড বিজনেস ল্যাব, ভিশনস্প্রিং এবং মোমোদ ফাউন্ডেশনের দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা থ্রিফট এর গবেষণাটি বাস্তবায়ন করা হবে।
এ বিষয়ে থ্রিফট (THRIFT) গবেষণার মূল গবেষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং ব্র্যাক জেমস পি গ্রান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথের অ্যাসোসিয়েট সাইন্টিস্ট ড. অতনু রাব্বানী বলেন, “বাংলাদেশের সামাজিক পেনশন ব্যবস্থাটি এই কার্যক্রমের একটি অন্যতম উদাহরণ। সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী মুল্যের চশমা ব্যবহার বয়স্কদের ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে কতটুকু কার্যকর তা এই গবেষণায় পরীক্ষা করে দেখা হবে।”
ভিশনস্প্রিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এলা গুডউইন বলেন, “এই গবেষণাটি দৃষ্টিশক্তি সুরক্ষা খাতের জন্য একটি অনন্য উদ্যোগ। আমরা আশা করি, থ্রিফট গবেষণার ফলাফল আর্থিক সেবার সহজলভ্যকরণ এবং স্বাস্থ্য খাতের নীতিগুলোকে আরও জনবান্ধব করবে। যার ফলে প্রবীনরা আরও সহজে মোবাইল ব্যংকিং সেবা গ্রহণ করার সাথে সাথে সংযুক্ত সামাজিক সুরক্ষা কার্জক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবে।”
ওয়েলকাম ট্রাস্ট এবং চেন ইয়াত-সেন ফ্যামিলি ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে এই গবেষণাটি পরিচালিত হবে। ইঞ্জিন স্টাডিজের শীর্ষস্থানীয় গবেষকরা হলেন, যুক্তরাজ্যের কুইনস ইউনিভার্সিটি বেলফাস্টের (কিউইউবি) অধ্যাপক নাথান কংগডন এবং ভারতের এলভি প্রসাদ আই ইনস্টিটিউটের (এলভিপিইআই) অধ্যাপক রোহিত খান্না।
প্রসঙ্গত, বিশ্বের ছয়টি দেশের সরকারি, একাডেমিক, এনজিও এবং বেসরকারি খাতের মোট ২৯ টি প্রতিষ্ঠান সহযোগী হিসেবে এই ইঞ্জিন গবেষণাটি পরিচালনা করবে। এই গবেষণায় অন্যান্য অংশীদারদের মধ্যে রয়েছে: আলঝাইমারস এবং রিলেটেড ডিসঅর্ডারস সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া (এআরডিএসআই), এশিয়া ইনজুরি প্রিভেনশন ফাউন্ডেশন (এআইপিএফ), সিবিএম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় /জেপিজি ব্র্যাক স্কুল অফ পাবলিক হেলথ, ফ্লোরিডা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়, জর্জ ইনস্টিটিউট ইন্ডিয়া, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, , এইচসিএম সিটি ইউনিভার্সিটি অব পাবলিক হেলথ, এইচসিএম সিটি আই হসপিটাল, জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়, এলভি প্রসাদ আই ইনস্টিটিউট, মমদা ফাউন্ডেশন, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড নিউরোসিয়েন্সেস ইন্ডিয়া, নিউ ইংল্যান্ড কলেজ অব অপটোমেট্রি, অরবিস ভিয়েতনাম, পিইইকে, রিমন লিমিটেড, আলস্টার বিশ্ববিদ্যালয়, মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়, মিশিগান গুড বিজনেস ল্যাব, দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, জিম্বাবুয়ে বিশ্ববিদ্যালয়, ভিয়েতনাম পরিবহন মন্ত্রণালয়, ভিশনস্প্রিং এবং জিম্বাবুয়ে অপটোমেট্রিক অ্যাসোসিয়েশন।