সোমবার (২১ জুন) কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এ বিষয়ে সার্কুলার জারি করে সংশ্লিষ্ট অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকগুলোকে অবহিত করা হয়।
যুক্তরাজ্যের আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিন্যান্সিয়াল কন্ডাক্ট অথরিটির সিদ্ধান্ত অনুসারে বেঞ্চমার্ক হার হিসেবে লিবর-এর প্রয়োগ ২০২১ সালের পর প্রত্যাহার করা হবে। লিবর-এ সূচক ঘোষণা সম্পূর্ণরূপে জুলাই ২০২৩ থেকে প্রত্যাহার করা হবে। ২০২২ সালের পরবর্তীতে অর্থায়নের সুদহার নির্ধারণে লিবর-এর পরিবর্তে নতুন বেঞ্চমার্ক হারে প্রয়োগ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। একই সঙ্গে লিবর প্রত্যাহারের আগে লিবর ভিত্তিতে গৃহীত সব ধরনের অর্থায়নের সুদ নতুন বেঞ্চমার্ক রেটে স্থানান্তর করতে হবে।
বিদ্যমান নীতি অনুযায়ী, স্বল্পমেয়াদি অর্থায়নে ছয় মাসভিত্তিক লিবর-এর সাথে ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ মার্কআপ যুক্ত করে বার্ষিক সুদহার নির্ধারিত হয়। খসড়া সার্কুলারে লিবর-এর পাশাপাশি যে মুদ্রায় অর্থায়ন করা হবে সে মুদ্রায় প্রযোজ্য বেঞ্চমার্ক হারের সঙ্গে নির্দেশিত মার্কআপ যুক্ত করে রফতানি বিল ডিসকাউন্টিং কিংবা মেয়াদপূর্তির আগেই রফতানি মূল্য প্রত্যাবাসনের সুযোগ দেয়া হয়েছে।
ঝুঁকিমুক্ত বেঞ্চমার্ক রেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে মার্কআপ ৩ দশমিক ৫০ শতাংশের ওপর বার্ষিক ২ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে ঝুঁকি প্রিমিয়াম যোগ করার সুযোগ রাখা হয়েছে। নতুন নীতিমালায় ছয় মাসের নির্ধারিত মেয়াদের পরিবর্তে অর্থায়নের সময়কালের ভিত্তিতে বেঞ্চমার্ক হার প্রয়োগের সুবিধা রাখা হয়েছে। পাশাপাশি মেয়াদভিত্তিক (যেমন- তিন মাস/ছয় মাস মেয়াদি) বেঞ্চমার্ক হারের অনুপস্থিতিতে রফতানি বিলের বিপরীতে অগ্রিম মূল্য পরিশোধের তারিখের পূর্বের সংশ্লিষ্ট সময়কালের কম্পাউন্ডিং পদ্ধতিতে আগাম সুদ হার হিসাবায়ন করা যাবে বলে নীতিমালায় উল্লেখ রয়েছে। তাছাড়া শরীয়াহভিত্তিক অর্থায়নে প্রচলিত ইসলামি শরীয়াহভিত্তিক হার প্রয়োগ করা যাবে।
প্রণীত খসড়া নীতিমালাটি বায়ার্স/সাপ্লায়ার্স ক্রেডিটের আওতায় গৃহীত স্বল্পমেয়াদি আমদানি অর্থায়নের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। আমদানি বাণিজ্যেও অর্থায়নের ক্ষেত্রে মেয়াদভিত্তিক (যেমন- তিন মাস/ছয় মাস মেয়াদি) বেঞ্চমার্ক হারের অনুপস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট সময়কালের জন্য কম্পাউন্ডিং পদ্ধতিতে বকেয়াভিত্তিক সুদহার হিসাবায়ন করা যাবে বলে নীতিমালায় উল্লেখ রয়েছে।
একই সঙ্গে লিবর প্রত্যাহারের পূর্বে লিবর ভিত্তিতে গৃহীত ঋণ বিদেশি ঋণদাতার সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে মুদ্রাভিত্তিক বেঞ্চমার্ক রেটে উক্ত ঋণ রূপান্তর করা যাবে। নীতিমালায় লিবর রহিতকরণের সিদ্ধান্ত প্রকাশিত হওয়ার পর লিবরভিত্তিক অর্থায়ন ব্যবস্থা থেকে অনুমোদিত ডিলার (এডি) ব্যাংককে বিরত থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।