রোববার (২৭ জুন) দেশে এই প্রথম আন্তর্জাতিক এমএসএমই দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনলাইন আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। এসএমই ফাউন্ডেশন ও জাতিসংঘ শিল্প উন্নয়ন সংস্থার (ইউএনআইডিও) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই আলোচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ প্রমুখ।
এসময় এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য সরকার প্রণোদনা তহবিল দিলেও ৭৩ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়নি। মূল কারণ হলো, আগে থেকে ব্যাংকের সঙ্গে সম্পর্ক না থাকা। তাই ছোটদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ প্রয়োজন। ঋণ প্রদানে ঝুঁকি থাকলেও ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ঋণের অর্থ পরিশোধের হার খুবই ভালো।
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি ব্যবসার ঝুঁকি কমাতে সিএমএসএমই খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিমার আওতায় আনার পরামর্শ দেন। তিনি আরও বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের জায়গা বরাদ্দ থাকতে হবে।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘অর্থনীতির প্রধান শক্তি হচ্ছে সিএমএসএমই খাত। আমরা গ্রাম ও ইউনিয়ন পর্যায়ে উদ্যোক্তা তৈরি করতে চাই। ছোট উদ্যোক্তাদের অর্থায়ন করাই মূল চ্যালেঞ্জ। তেলা মাথায় তেল না দিয়ে সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার।’
শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, ট্রেড লাইসেন্স না থাকা ও হিসাব-নিকাশ ঠিকঠাক না করায় ছোট উদ্যোক্তারা প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে ঋণ পেতে সমস্যায় পড়েছেন। এ জন্য তাঁদের সক্ষমতা বাড়ানোর তাগিদ দেন তিনি।
উদ্যোক্তা গাজী তৌহিদুর রহমান ও রেজমিন হাফিজ এসএমই ফাউন্ডেশনের সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর জোর দিয়ে বলেন, এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য প্রতিবছর বাজেটে সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ রাখা প্রয়োজন।
আরও বক্তব্য দেন ইউএনআইডিওর দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের প্রধান ভেন বার্কেল রেনে, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন, এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমান, চেয়ারপারসন মো. মাসুদুর রহমান প্রমুখ।