রোববার পার্লামেন্ট অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে ইরানি স্পিকার বলেন, ‘আইএইএ’র সঙ্গে যে তিন মাসের সাময়িক চুক্তি হয়েছিল তা নবায়ন করা হয়নি। কাজেই তিন মাস মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোতে বসানো ক্যামেরাগুলোর কোনো ছবি বা ভিডিও চিত্র বা অন্য কোনো তথ্য আইএইএ পাবে না। এসব ছবি ও তথ্য ইরানের কাছে সংরক্ষিত থাকবে।’
বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, ইরানের এই ঘোষণার ফলে ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তি কার্যকর করার জন্য তেহরানের সঙ্গে বিশ্বের ছয় পরাশক্তির মধ্যকার চলমান আলোচনাকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।
ইরানের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত পত্রিকা তেহরান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশটির পার্লামেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা এবং পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যদি ইরানের ওপর থেকে সকল নিষেধাজ্ঞা সরিয়ে নিতে ব্যর্থ হয় তাহলে আমরা পরমাণু কেন্দ্রগুলোতে থাকা আইএইএ’র ক্যামেরা বন্ধ করে দেবে।’
২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে ছয় বিশ্ব পরাশক্তির মধ্যে পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘ত্রুটিপূর্ণ’, ‘একপেশে’, ‘এর কোনো ভবিষ্যৎ নেই’ অভিযোগ তুলে চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নিয়ে যান। যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়ার পর চুক্তির শর্তগুলো মেনে চলার ব্যাপারে ইরানও উদাসীন হয়ে পড়ে।
অবশ্য এই পরমাণু চুক্তি ফের কার্যকর করতে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ইরান ও বিশ্বের ছয় পরাশক্তি দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে।
সূত্র: রয়টার্স