ডিএমপি জানিয়েছে, লকডাউনের মধ্যে মোটরসাইকেলে চালকের সঙ্গে পরিচিত ব্যক্তি রাইড শেয়ার করছে। অথবা কেউ কেউ পেশাগত কারণেও রাইড শেয়ার করছে। যার ফলে একই ব্যবহৃত হেলমেট বার বার বিভিন্ন মানুষ ব্যবহার করছে। এতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে।
করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের সময়ে বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় জরুরি প্রয়োজনে রাজধানীতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ চালক ছাড়া অন্য আরোহী নিয়ে মোটরসাইকেলে চলাচলে নিরুৎসাহিত করছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে রিকশায় যাতায়াতের জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে ২৮ জুন থেকে ১ জুলাই ভোর ৬টা পর্যন্ত সীমিত পরিসরে লকডাউন ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। রোববার (২৭ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এতে বলা হয়েছে-
১. সারা দেশে পণ্যবাহী যানবাহন ও রিকশা ব্যতীত সব গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক নিয়মিত টহলের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
২. সব শপিংমল, মার্কেট, পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।
৩. খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খাবার বিক্রয় (শুধুমাত্র Online/Take way) করতে পারবে।
৪. সরকারি-বেসরকারি অফিস বা প্রতিষ্ঠানগুলো শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নিজ নিজ অফিসের ব্যবস্থাপনায় তাদের আনা-নেওয়া করতে হবে।
৫. জনসাধারণকে মাস্ক পরার জন্য আরো প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।