এনডিটিভি জানায়, মোদী বলেছেন, ‘আমার গ্রহণ করা কিছু কঠোর সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষের মধ্যে অসুবিধার কারণ হওয়ায় আমি জাতির কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। কিন্তু আপনাদের সুরক্ষার নিশ্চিত করার জন্যই আমাকে এ পদক্ষেপগুলো নিতে হয়েছে।’
রোববার স্থানীয় সময় সকালে মাসিক রেডিও বক্তৃতা ‘মন কি বাত’ এ মোদী এমনটি বলেছেন বলে জানা গেছে।
গত সোমবার মোদী বিশ্বজুড়ে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ভারতজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেন। তারপর থেকে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ভারতে সব ধরনের গণপরিবহন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিপণিবিতান, জিম, সুইমিংপুল বন্ধ আছে। তিন সপ্তাহের এ লকডাউন চলাকালে দেশের নাগরিকদের বাড়িতে অবস্থান করতে বলা হয়েছে।
লকাডাউন শুরু হওয়ার পর দেশটির বড় শহরগুলোতে হাজার হাজার দিনমজুর বেকার হয়ে পড়েছে। আশপাশের গ্রামগুলো থেকে কাজের খোঁজে শহরে যাওয়া এসব লোক অর্থের অভাবে আশ্রয় হারিয়েছে, খাবার কেনার টাকাও তাদের কাছে নেই। রাজ্য সরকারগুলো এ ধরনের লোকজনের জন্য খাবার সরবাহের ঘোষণা দিলেও সামাজিক রান্নাঘর ও বিতরণ নেটওয়ার্ক এখনও প্রস্তুত হওয়ার পথে রয়েছে।
পরিস্থিতির চাপে আতঙ্কিত ওই মজুররা গণপরিবহনের অনুপস্থিতিতে পায়ে হেঁটেই দূরবর্তী গ্রাম বা ছোট শহরগুলোতে থাকা তাদের বাড়ির পথে রওনা হন। ভারতের উত্তরাঞ্চলের সব মহাসড়কগুলোতে এমন লোকজনের স্রোত দেখা যাচ্ছে বলে এনডিটিভি জানিয়েছে। বোচকা-বাচকি নিয়ে কোলে, কাঁখে বাচ্চাদের তুলে অনেকে পরিবারসহ শত শত কিলোমিটার দূরের গ্রামের পথ ধরেছে।
শনিবার বাড়ির পথ ধরা এই মিছিলেরই একজন ৩৮ বছর বয়সী রানবীর সিং দিল্লি থেকে মধ্যপ্রদেশের বাড়ির পথে রওনা হয়ে আগ্রা পর্যন্ত গিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন।