প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন কাঠামো কার্যকর হবে। আর ওই দিনই বাতিল হয়ে যাবে ২০১২ সালের ১৫ মার্চ জারি করা প্রজ্ঞাপন।
এদিকে গত কয়েকদিন ধরে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত জীবন বিমা কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগে বিনিয়োগকারীদের আগ্র দেখা গেছে। ফলে বেশ কয়েকটি জীবন বিমা কোম্পানির শেয়ার দর বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থাৎ আগের তুলনায় জীবন বীমা কোম্পানির ব্যবস্থাপনা ব্যয় কমবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। এ জন্য বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের শীর্ষে দেখা গেছে জীবন বীমা কোম্পানির শেয়ারে।
এবিষয়ে আইডিআরএর চেয়ারম্যান এম মোশাররফ হোসেন বলেন, জীবনবিমা কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনা ব্যয় কমানো ও তাদের তদারকি পর্যায়ে লোকবল নিয়োগের বিষয়ে শৃঙ্খলা আনার জন্য প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয়েছে। এতে তাদের ব্যবস্থাপনা ব্যয় ১২ থেকে ১৫ শতাংশ কমবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, তদারকি পর্যায়ে আগে ধাপ ছিল ৫টি, এখন তা হবে ৩টি। এগুলো হলো—মহাব্যবস্থাপক (জিএম), উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) ও সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম)। তবে ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাসোসিয়েট (এফএ), ইউনিট ম্যানেজার (ইউএম) ও শাখা ম্যানেজার (বিএম) পদবিগুলো আগের মতোই থাকবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, এফএরা প্রথম বছরে প্রিমিয়াম থেকে যে হারে কমিশন অর্জন করবেন, তার ওপর ইউএম ও বিএমরা কমিশন পাবেন নির্দিষ্ট হারে। যেমন ইউএমরা মূল কমিশন ৩০ ও বিশেষ কমিশন ৫ শতাংশ হারে পাবেন। আর বিএমরা মূল কমিশন ২০ ও বিশেষ কমিশন ১০ শতাংশ করে পাবেন।
এ ছাড়া তদারকি পর্যায়ে এফএদের জন্য যে কমিশন হার নির্ধারণ করা আছে, তার ওপর জিএমরা ১৪, ডিজিএমরা ১৬, এজিএমরা ১৮ শতাংশ পাবেন। মাঠ পর্যায়ের সাংগঠনিক কাঠামো হবে পিরামিড আকারের। প্রত্যেক ইউএমের অধীনে কমপক্ষে ৫ জন সক্রিয় এফএ থাকবেন। প্রত্যেক শাখা ব্যবস্থাপকের অধীনে কমপক্ষে ৪ জন সক্রিয় ইউনিট ব্যবস্থাপক থাকবেন। আবার প্রত্যেক সুপারভাইজারের অধীনে কমপক্ষে ৩ জন উন্নয়ন কর্মকর্তা থাকবেন।
এ ছাড়া সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে কমিশনভিত্তিক কোনো নিয়োগ বা পদায়ন করা যাবে না বলে গত ২৫ মার্চ যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল, সেটি সবাইকে আবার মনে করিয়ে দিয়েছে আইডিআরএ।