মঙ্গলবার (২৯ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ডাক বিভাগকে একটি চিঠি দিয়ে নগদ-এর অনুমোদনের মেয়াদ বাড়ানোর কথা জানানো হয়েছে। এই সময়সীমার ভেতর প্রতিষ্ঠানটিকে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে চূড়ান্ত অনুমোদন নিতে হবে।
ডাক বিভাগের সাবসিডিয়ারি কোম্পানি হিসেবে নগদ-কে পরিচালনার জন্য সরকারের দিক থেকে প্রক্রিয়াগত কার্যক্রম চললেও এ ক্ষেত্রে আইন সংশোধনসহ প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের মতো দীর্ঘমেয়াদি বিষয় জড়িত। সে কারণে ‘নগদ’-এর সেবা পরিচালনা সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনাপত্তির মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানোর আবেদন করেছিল ডাক অধিদফতর।
এর আগে, চলতি মাসের শুরুর দিকে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এ সংক্রান্ত একটি বৈঠক করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বের ওই বৈঠকেই সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করার সিদ্ধান্ত হয়।
করোনাভাইরাসের কারণে সরকারি সাধারণ ছুটি থাকা এবং সে কারণে সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠনের কার্যক্রম শেষ করতে বাড়তি সময় লেগেছে। সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠনের জন্য এরই মধ্যে মেমরেন্ডাম অব অ্যাসোশিয়েশন (এমওএ), আর্টিকেল অব অ্যাসোশিয়েশন (এওএ) এবং ভেন্ডর এগ্রিমেন্টের খসড়া তৈরি হলেও সেটি সরকারের চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
এ বিষয়ে ‘নগদ’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, করোনার কারণে দাফতরিক অনেক কাজে বিঘ্ন ঘটায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ ব্যাংকের চাহিদা অনুসারে সকল দাফতরিক কাজ শেষ করতে পারেনি। তারপরও জনগণের সেবা যেন ব্যাহত না হয়, সে কারণে আরও তিন মাস অন্তর্বর্তীকালীন অনুমোদনের মেয়াদ বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক ‘নগদ’ পরিচালনার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন যে অনুমোদন দিয়েছিল তার মেয়াদ ৩০ জুন শেষ হওয়ার কথা ছিল। সে ক্ষেত্রে ‘নগদ’-এর পরিচালনা সংক্রান্ত কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখা এবং পাঁচ কোটি গ্রাহকের সেবা অব্যহত রাখার জন্যই বৈঠক থেকে সকল সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে বর্ধিত সময়ের জন্য আবেদন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
২০১৯ সালের ২৬ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর হাত দিয়ে উদ্বোধন হয় ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সেবা ‘নগদ’। শুরু থেকেই উদ্ভাবনী ও সাশ্রয়ী সেবা নিয়ে বাজারে যাত্রা করা নগদ মাত্র দুই বছরের কিছু বেশি সময়ের মধ্যে ৫ কোটির বেশি গ্রাহকভিত্তি তৈরি করেছে।
বর্তমানে এমএফএস অপারেটরটিতে দৈনিক ৭০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হচ্ছে। তাছাড়া কোভিডের মতো পরিস্থিতিতে সরকারি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ভাতা এবং অন্যান্য সরকারি সহায়তা বিতরণ করে সাড়া ফেলেছে এমএফএস অপারেটরটি।