বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) এক বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকার সুইজারল্যান্ড দূতাবাস এ তথ্য জানায়।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশে করোনা বেড়ে যাওয়ায় কমিউনিটি ভিত্তিক কার্যকর প্রতিরোধ ব্যবস্থা আরও জোরদার করার জন্য সুইজারল্যান্ড অতিরিক্ত ৯.৮ মিলিয়ন সুইস ফ্র্যাংক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
সুইস দূতাবাস জানায়, গত বছরের এপ্রিলে করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাবের পর থেকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এবং সম্মুখসারির সংস্থাগুলোকে সহায়তা করার জন্য সুইজারল্যান্ড বাংলাদেশজুড়ে ২০টি প্রকল্পে ১৭ মিলিয়ন সুইস ফ্র্যাংক (প্রায় ১৬০ কোটি টাকা) অর্থসহায়তা দিয়েছে।
দূতাবাসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ কার্যক্রমগুলো মহামারির নেতিবাচক প্রভাবের বিরুদ্ধে সময়োচিত প্রতিকার প্রদানে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে। সুইস সহযোগিতায় এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫ লাখ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সম্পর্কে সচেতনতা ও প্রশিক্ষণ লাভ করেছে। ১০ লাখ মানুষ কোভিড-১৯ উন্নত চিকিৎসার জন্য টেলিমেডিসিন পরিষেবা পেয়েছে। ১ লাখ ৩০ হাজার নিম্নবিত্ত মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়। এছাড়াও ১ লাখ ১৫ হাজার মানুষকে নগদ অর্থসহায়তা এবং ৬০ হাজার জনকে পুষ্টিকর খাবার প্রদান করা হয়। এছাড়া লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা থেকে বেঁচে যাওয়াদের মনস্তাত্ত্বিক এবং আইনি সহায়তা প্রদানের জন্য চারটি হেল্পলাইন স্থাপন করা হয়।
দূতাবাস জানায়, কোভ্যাক্স উদ্যোগে অতিরিক্ত ৩০০ মিলিয়ন সুইস ফ্র্যাংক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর সুইজারল্যান্ডের ফেডারেল কাউন্সিল বুধবার এ বৈশ্বিক উদ্যোগে চল্লিশ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন অনুদানের ঘোষণা দিয়েছে, যা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে আরও অধিক পরিমাণে টিকা দ্রুত সরবরাহে সাহায্য করবে।