তথ্য অনুযায়ী, প্রবাসীরা চলতি জুন মাসের প্রথম ২৮ দিনে দেশে মোট ১৭৫ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। আর চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত (২ দিন বাদে পুরো অর্থবছরে) প্রবাসী আয় এসেছে ২ হাজার ৪৫৮ কোটি ৯০ লাখ ডলার। এর আগের ২০১৯-২০ অর্থবছরের একই সময়ে প্রবাসীরা পাঠিয়েছিলেন ১ হাজার ৮০৩ কোটি ১০ লাখ ডলার। এতে দেখা যায়, গত অর্থবছরের তুলনায় এই অর্থবছরে প্রবাসী আয়ে ৩৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
বৈধ পথে দেশে প্রবাসী আয় পাঠানোকে উৎসাহিত করতে সরকার ২০১৯-২০ অর্থবছরে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা প্রদানের ঘোষণা দেয়। এর পর থেকে মূলত বৈধ পথে প্রবাসী আয় বাড়তে শুরু করে। অন্যদিকে অবৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানো কমে যায়। করোনার মধ্যে প্রবাসী আয়ে বড় ধরনের ধাক্কা লাগার আশঙ্কা করা হলেও তেমন প্রভাব পড়েনি। বরং আন্তর্জাতিক যোগাযোগ সীমিত হয়ে পড়ায় বৈধ পথে প্রবাসী আয় পাঠানোর পরিমাণ বেড়েছে।
এদিকে করোনার মধ্যেও প্রবাসী আয় অর্জনে বাংলাদেশ আরও এক ধাপ এগিয়েছে। গ্লোবাল নলেজ পার্টনারশিপ অন মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (নোমাড) অর্ধবার্ষিক ব্রিফিংয়ে জানানো হয়েছে, নিম্নমধ্যম আয়ের দেশের মধ্যে প্রবাসী আয় অর্জনে বাংলাদেশ সপ্তম অবস্থানে উঠে এসেছে। বিশ্বব্যাংক প্রতিষ্ঠিত বহুপক্ষীয় ট্রাস্ট ফান্ড নোমাড গত ১২ মে এ তথ্য প্রকাশ করে।