দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮১ হাজার ৪৭০ এবং মারা গেছে ৩ হাজার ৩০৪ জন। অপরদিকে, আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই সুস্থ হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৭৫ হাজার ৭শ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে।
গত কয়েকদিনে দেশটিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই ছিল বিদেশি নাগরিক। স্থানীয় বাসিন্দাদের আক্রান্ত ও মারা যাওয়ার সংখ্যা ছিল খুবই কম।
ফলে বিদেশি নাগরিকদের কারণে নতুন করে করোনার প্রকোপ বাড়ার ঝুঁকি দেখা দিয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের লাগাম টেনেছে চীন।
বিদেশফেরত নাগরিকদের মাধ্যমেই দেশটিতে দ্বিতীয় দফায় মহামারি শুরু হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। সেকারণে করোনার সংক্রমণ পুরোপুরি শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে বিদেশিদের প্রবেশে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করে চীন।
শুক্রবার রাত থেকেই এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়। অপরদিকে, আন্তর্জাতিক ফ্লাইট কমিয়ে আনার জন্য সব এয়ারলাইন্সকে নির্দেশনা দেয় বেইজিং। নতুন করে যেন বিদেশফেরত নাগরিকদের মাধ্যমে করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্যই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের ৯০ শতাংশই বাতিল করেছে চীন। যেখানে আগে প্রতিদিন ২৫ হাজার যাত্রী বহন করা হতো সেখানে তা কমিয়ে ৫ হাজার করা হয়েছে।
গত শনিবার থেকে বিদেশি নাগরিক, বৈধ ভিসাধারীদের ওপর চীনে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথমবার করোনার উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপর থেকেই চীনের বিভিন্ন প্রান্তে করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়তে থাকে।
সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। কিন্তু গত কয়েক মাসের প্রচেষ্টায় নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে চীন।
এর বড় প্রমাণ দেশটির হুবেই প্রদেশ। ওই প্রদেশের উহান শহরই ছিল করোনার উৎপত্তিস্থল। কিন্তু গত ছয়দিনে হুবেই প্রদেশে নতুন করে কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়নি। হুবেই প্রদেশের এমন অল্প সময়ে ঘুরে দাঁড়ানো নিঃসন্দেহে চীনের জন্য খুব ভালো একটি খবর।