দি ইনস্টিটিউট অফ চাটার্ড অ্যাকাউন্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) কর্তৃক আয়োজিত ভার্চুয়াল সেমিনারে “ডাইনামিকস অফ অডিট কোয়লিটি ইন বাংলাদেশ” শিরোনামে প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে ড. মো. সেলিম বলেন, যদি কোন কারণে জনগণের বিশ্বাস ও আস্থা নষ্ট হয়ে যায়, হ্রাস পায় এবং বাধাপ্রাপ্ত হয় তাহলে যে কোন পেশা বিশেষ করে অডিট পেশা ঝুঁকিতে পড়বে এবং অডিট মনের অবনতি ঘটতে পারে। তিনি আরো বলেন যে কোন দেশের বিশেষ করে উন্নত দেশে সম্পদ সৃষ্টি এবং জাতীয় আয় প্রবৃদ্ধি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অনেকটাই জবাবদিহিতা এবং শক্তিশালী অডিট ব্যবস্থা ও অডিট প্রক্রিয়ার উপর নির্ভর করে।
ড. মো. সেলিম বলেন, ১৯৯৭ এর এশিয়ান ফাইন্সাশিয়াল ক্রাইসিস, ২০০২ এর বৈশ্বিক কর্পোরেট কেলেঙ্কারি, ২০০৮ এর বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট এবং সম্প্রতি কর্পোরেট জালিয়াতি যেমন: জার্মানীর ওয়ারকার্ড ইত্যাদি কারণে অডিট পেশাকে তথা অডিট সর্ম্পকে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। কেননা আর্থিক সংকট ও জালিয়াতি সৃষ্টিকারী কোম্পানীগুলোর বেশির ভাগই ত্রুটিহীন নীরিক্ষা প্রতিবেদন প্রদান করা হয়েছিল। সুতরাং প্রবন্ধকার ড. সেলিম বিশ্বব্যাপী এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশে অডিট কোয়ালিটির সকল মান নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত সকল নীতিমালা, আইনকানুন, কাঠামো বিশেষ করে অডিট পেশায় ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড অফ কোয়ালিটি ম্যানেজম্যান্ট ১ ও ২ (আইএসকিউএস) প্রয়োগের গুরুত্ব আরোপ করেন।
ড. সেলিম তার প্রবন্ধে অডিট ব্যর্থতার কারণসমূহ, বাংলাদেশের মোট নিবন্ধিত কোম্পানির বিশ্লেষণ, নিবন্ধিত নিরীক্ষা ফার্মের সংখ্যা এবং জনবলের বিশ্লেষণ, বিএসইসি এবং আইসিএবি কর্তৃক গৃহীত সর্তকতামূলক ব্যবস্থাদির পাশাপাশি বৈশ্বিক নীরিক্ষা ফার্মের বিরুদ্ধে গৃহীত কার্যক্রমের বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন। এছাড়া অডিট ফি এবং অডিট কোয়ালিটির সাথে পারস্পারিক সম্পর্ক নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন। বিশ্বব্যাপী অডিট পেশা একটি চমৎকার পেশা হিসেবে কালক্রমে গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশে এই পেশার উন্নয়নে অডিট ফার্মের অডিট কোয়ালিটি বিষয়টি অডিট প্রতিবেদন ব্যবহারকারী, বিনিয়োগকারী, স্বার্থ সংশ্লিষ্ট পক্ষ, অডিট সংক্রান্ত আইনী প্রক্রিয়া এবং সংশ্লিষ্ট অডিট নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাসমূহ সহ সবাইকে পারস্পারিক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতিসহ আন্তরিক হতে হবে। ভার্চুয়াল সেমিনারে অংশগ্রহণকারীরা আলোচনায় উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট দেওয়ান নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আইসিএবিএর বর্তমান প্রেসিডেন্ট মাহমুদুল হাসান খসরু স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। আইসিএবির ভাইস প্রেসিডেন্ট মো: আব্দুল কাদের জোয়ারদার এবং প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মো: ফারুক আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। ভাইস প্রেসিডেন্ট সিদ্ধার্থ বড়ুয়া সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন এবং আইসএিবির সিইও সুভাশীষ বোস অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন। অনুষ্ঠানে পাঁচ শতাধিকের উপরে সদস্য উপস্থিত ছিলেন।