জানা যায়, বেশির ভাগ কর্মক্ষেত্রেই কর্মীর উৎপাদনশীলতা বেড়েছে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে একই রকম রয়েছে। এ ছাড়া চাপ কমেছে কর্মীদের। তাঁরা নিজেদের যত্নে বেশি সময় পাচ্ছেন।
বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশ এই চার দিন কর্মদিবসের পরীক্ষামূলক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে আছে স্পেন। এ ছাড়া নিউজিল্যান্ডে বহুজাতিক সংস্থা ইউনিলিভার এই পরীক্ষামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
আইসল্যান্ডে এই ট্রায়াল রেকজাভিক সিটি কাউন্সিল ও সরকার যৌথভাবে পরিচালনা করে। আড়াই হাজারের বেশি কর্মীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যা আইসল্যান্ডের কর্মজীবী জনসংখ্যার প্রায় ১ শতাংশের সমান। যুক্তরাজ্যের গবেষণা সংস্থা অটোনোমি এবং আইসল্যান্ডের গবেষণা সংস্থা দ্য অ্যাসোসিয়েশন ফর সাসটেইনেবল ডেমোক্রেসি জানায়, পরীক্ষার অংশ হিসেবে এই কর্মীরা সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টার বদলে ৩৫ থেকে ৩৬ ঘণ্টা কাজ করেন।
ফলাফলে শ্রমিকেরা জানান, তাঁরা কম চাপ অনুভব করেন। ক্ষোভ বোধ করেন না। তাঁদের স্বাস্থ্য এবং কর্মজীবনের ভারসাম্য উন্নত হয়েছে। গবেষকেরা বলছেন, যা এই ট্রায়ালের সাফল্য ব্যাপক।
করোনাভাইরাস চ্যালেঞ্জের মধ্যে স্পেন বিভিন্ন সংস্থায় চার দিনের কার্যদিবসের পরীক্ষা চালাচ্ছে। অন্যদিকে নিউজিল্যান্ডে ইউনিলিভার কর্মীদের ওপর এই পরীক্ষায় বেতন না কেটে কাজ করার সময় ২০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে।
এদিকে সম্প্রতি কোম্পানিগুলোয় কর্মদিবস সপ্তাহে পাঁচ দিনের পরিবর্তে চার দিন করার পক্ষে মত দিয়েছে জাপান সরকার। এ বিষয়ে কোম্পানিগুলোকে উৎসাহও দিচ্ছে সরকার। জাপান সরকারের মূল্য লক্ষ্য হলো কর্মীরা যাতে কর্মক্ষেত্র ও ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে একটি ভারসাম্য আনতে পারেন। কর্মীরা যেন নিজেদের পরিবারের যত্ন নিতে পারেন, সেই সঙ্গে নতুন কিছুতে দক্ষতা নেওয়ার সময় পান।