রফতানি লক্ষ্যমাত্রা ৫১ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ

রফতানি লক্ষ্যমাত্রা ৫১ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ
চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের রফতানি লক্ষ্যমাত্রা ৫১ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের পণ্য খাত থেকে ৪৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন এবং সেবা খাত থেকে ৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার রফতানির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৬ জুন) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে ভার্চুয়ালি ২০২১-২০২২ অর্থবছরের রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ও ঘোষণা সংক্রান্ত সভায় এ তথ্য জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ২০২১-২০২২ অর্থবছরের রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫১ বিলিয়ন ডলার। এ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের সময় দেশের এবং আন্তর্জাতিক সব বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৪৩ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি হবে এবং ৭ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার সেবা রফতানি হবে। এবার ১২.৩৭% রফতানি প্রবৃদ্ধি ধরে এ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আমাদের দেশের রফতানির ধারা অব্যাহত থাকলে এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব।

রফতানির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশের রফতানি খাত সচল রয়েছে ও ঘুরে দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগে রফতানি খাতকে প্রণোদনা প্রদানসহ প্রয়োজনীয় সবধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখা হয়েছে। রফতানি পণ্য সংখ্যা বৃদ্ধি এবং বাজার সম্প্রসারণে সরকার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আমাদের রফতানি বৃদ্ধির সুযোগ এসেছে। রফতানি বৃদ্ধির জন্য রফতানিকারক এবং রফতানির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। আমরা সম্মিলিতভাবে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখলে ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কোনো কঠিন কাজ হবে না।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান ব্যবসাবান্ধব সরকার দেশের রফতানি বৃদ্ধির জন্য আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। সরকার বেশকিছু সেক্টরকে পণ্য রফতানিতে দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য প্রকল্প হাতে নিয়েছে। আমাদের দেশের তৈরি পোশাকের পাশাপাশি লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, আইসিটি, লেদার ও লেদারগুডস, প্লাস্টিক এবং কৃষিজাত পণ্য রফতানির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।

এ খাতগুলোকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলার জন্য বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। আশা করা যায়, এ খাতগুলোর রফতানি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে। দেশের রফতানি বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন দেশের সঙ্গে পিটিএ বা এফটিএ এর মতো বাণিজ্য চুক্তি করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এছাড়া রফতানি বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত কমার্শিয়াল কাউন্সেলররাও কাজ করছেন।

উল্লেখ্য, গত অর্থবছরে রফতানি লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে পণ্য রফতানির লক্ষ্য ছিল ৪১ বিলিয়ন ডলার এবং সেবা খাতের রফতানির লক্ষ্য ছিল ৭ বিলিয়ন ডলার। পণ্য খাতে অর্জিত হয়েছে ৩৮.৭৬ বিলিয়ন ডলার এবং সেবা খাতে ৬.৬৩ বিলিয়ন ডলার। লক্ষ্যমাত্রার ৯৪.৫৬ ভাগ অর্জিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং অর্জিত হয়েছে উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান বক্তব্য রাখেন।

ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ঘোষিত ৫১ বিলিয়ন ডলার রফতানি লক্ষ্যমাত্রাকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বিকেএমইএর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম, বিজিএমইর সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান, লেদার অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যান্যুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মো. সাইফুল ইসলাম এবং টেনার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শাহীন আহমেদ।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

টানা ৯ দিন বাংলাবান্ধায় আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
হিলি দিয়ে ৩৮ দিনে এলো এক লাখ ২০ হাজার টন চাল
চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন মাশুল কার্যকর, গড়ে খরচ বাড়লো ৪১ শতাংশ
যুক্তরাষ্ট্রে ৭ মাসে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ২২ শতাংশ
তিন বছর পর হিলি দিয়ে টমেটো আমদানি শুরু
বেনাপোল দিয়ে চাল আমদানি শুরু, দাম কমার আশা
হিলি স্থলবন্দরে দেড় মাসে আয় ১৮ কোটি টাকা
পরিবেশবান্ধব লিড সনদ পেলো আরও ৫ পোশাক কারখানা
মার্কিন শুল্ক হ্রাসের পর স্থগিত কার্যাদেশ ফিরছে, সুবাতাস পোশাকখাতে
ঢাকায় পর্যটন মেলা ৩০ অক্টোবর