মঙ্গলবার (৬ জুন) কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, গত বছরের জুনে এনআরবিসি ব্যাংকের আমানতের পরিমাণ ছিল ৭ হাজার ৯৮২ কোটি টাকা। সেটি এক বছরের ব্যবধানে ৩২ দশমিক ৫১ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১০ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা। ২০১৯ সালে এ ব্যাংকের আমানত ছিল ৬ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা, যা ২০১৮ সালের জুনের তুলনায় ২৫ দশমিক ২০ শতাংশ বেশি। ২০১৮ সালের জুনে আমানত ছিল ৫ হাজার ৭৯ কোটি টাকা।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসএম পারভেজ তমাল বলেন, করোনাভাইরাসের এই সংকটকালেও আমরা জনগণের জন্য সেবার দরজা খোলা রেখেছি। তাদের হাতের নাগালে নতুন নতুন উপশাখাসহ বিভিন্ন সার্ভিস পয়েন্ট স্থাপন করছি। ঘোষিত লকডাউনেও গ্রাহকদের স্বার্থ বিবেচনা করে শতভাগ স্বাস্থ্যসুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শাখা, উপশাখা ও অন্যান্য বুথ চালু রেখেছি। এসব উদ্যোগের কারণে সংকটের বছরে ব্যাংকের আমানত সংগ্রহ রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে। ব্যাংকের প্রতি গ্রাহকদের আস্থার প্রতিফলন এটি।
তিনি বলেন, জনগণের টাকা নিয়ে আমরা জনগণের মাঝে বিতরণ করছি। আমাদের লক্ষ্য প্রান্তিক জনগণের ব্যাংকে পরিণত হওয়া। গ্রামের মানুষদের স্বল্প সুদে ঋণ দিয়ে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। গ্রামীণ অর্থনীতি সচল করা। দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে অবদান রাখতে কাজ করছে এনআরবিসি ব্যাংক।
আমানত সংগ্রহের পাশাপাশি ব্যাংকের ঋণ বিতরণ কার্যক্রম জোরদার হয়েছে। সংকটে পড়া মানুষদের তাৎক্ষণিক সুবিধা দিতে বিশেষায়িত ঋণ প্রকল্প চালু করে এনআরবিসি ব্যাংক। এজন্য সংকটের সময়ও ব্যাংকের ঋণের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৩ দশমিক ৭২ শতাংশ। ২০২১ সালের জুনে ঋণের পরিমান দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা, যা আগের বছরের একই সময় র্ছিল ৬ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা। ২০২০ সালের জুনে ঋণের প্রবৃদ্ধি হয় ১৭ শতাংশ। তার আগের বছর ঋণের পরিমাণ ছিল ৫ হাজার ৫০১ কোটি টাকা। আর ২০১৮ সালের জুনে ব্যাংকের ঋণ ছিল ৪ হাজার ৪০২ কোটি টাকা।
ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) গোলাম আউলিয়া বলেন, এনআরবিসি ব্যাংকের মূল লক্ষ্য জনগণের প্রয়োজনকে অগ্রাধিকার দিয়ে সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করা। এজন্য প্রযুক্তিনির্ভর বিভিন্ন সেবা চালু করেছি। মানুষের অর্থের নিরাপত্তা শতভাগ নিশ্চিত করা হচ্ছে। আবার সেই অর্থ সঠিকভাবে ব্যবহার করে সারা দেশের মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ বিভিন্ন প্রয়োজন মেটানো হচ্ছে। এজন্য আমানত সংগ্রহের পাশাপাশি আমরা ঋণদান কার্যক্রমও জোরদার করেছি।
শতভাগ প্রবাসী উদ্যোক্তাদের উদ্যোগে ব্যাংকটি কার্যক্রমে আসে ২০১৩ সালের এপ্রিলে। প্রান্তিক ও নিম্ন আয়ের মানুষদের সেবার আওতায় আনতে ব্যাংকটি উপশাখা ও পার্টনারশিপ ব্যাংকিংয়ের ধারণা নিয়ে কাজ শুরু করে সফল হয়েছে। ৮৩টি শাখার পাশাপাশি ৪৫০ উপশাখা রয়েছে ব্যাংকটির, যা ব্যাংকগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। এছাড়া শরিয়াহভিত্তিক ইসলামিক ব্যাংকিং উইন্ডো আল আমিন ব্যাংকিং চালুর মাধ্যমে সব শাখা ও উপশাখায় সেবা দেওয়া হচ্ছে।