সোমবার (৫ জুলাই) জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক এই অঙ্গ সংস্থাটির হেলথ ইমারজেন্সি প্রোগ্রামের নির্বাহী পরিচালক মাইক রায়ান বলেছেন, বিশ্বের কোণায় কোণায় করোনার নতুন ঢেউ শুরু হতে পারে আর অনেক দেশে মহামারি তো সবে মাত্র শুরু হয়েছে।
রায়ান বলেন, ‘আমেরিকা মহাদেশের দেশগুলোয় এখনো প্রতিদিন দশ লাখের বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছে। ইউরোপের অবস্থাও একই। প্রতিদিন সেখানে শনাক্ত হচ্ছে পাঁচ লাখ। এমন নয় যে, এটা আমাদের ছেড়ে চলে গেছে। এটা এখনো শেষ হয়নি।’
গত সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আফ্রিকা অঞ্চলের পরিচালক সতর্কবার্তা উচ্চারণ করে বলেছেন, ‘যে গতিতে আর যে হারে গোটা মহাদেশে মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হয়েছে, এমনটা আর আগে কখনো দেখা যায়নি।
গত বৃহস্পতিবারের ওই সংবাদ ব্রিফিংয়ে ডব্লিউএইচও’র আফ্রিকা প্রধান ডা. মাতশিদিসো মোয়েতি বলেন, ‘প্রতি তিন সপ্তাহে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা তিন গুণ হচ্ছে। অথচ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত তিন গুণ হতে সময় লেগেছিল চার সপ্তাহ।’
বিশ্বজুড়ে ভাইরাসটির নতুন নতুন অতিসংক্রামক ধরনের প্রকোপ, বিশেষ করে ভারতে প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রকোপ শুরু হওয়ার মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা বিভাগের প্রধান গোটা বিশ্বকে এভাবে সতর্ক করলেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিসংক্রামক এই ধরনটির প্রকোপ ঠেকাতে হলে কোভিড সংক্রান্ত বিধিনিষেধগুলো মেনে চলার পাশাপাশি দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে করোনার টিকা দিতে হবে। কিন্তু বিশ্বজুড়ে টিকার সংকট দেখা দেওয়ায় গতি কমেছে টিকাদান কর্মসূচির।