নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বিভিন্ন কোম্পানির সকল অমিমাংসিত, অবন্টিত লভ্যাংশ এবং ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকের কাছে তিন বছরের অধিক সময় পড়ে থাকা অর্থ-শেয়ার, নন রিফান্ডেড পাবলিক সাবস্ক্রিপশনের অর্থ এই তহবিলে স্থানান্তর করতে হবে। লভ্যাংশ ঘোষণা বা অনুমোদনের দিন বা রেকর্ড ডেট থেকে তিন বছর হিসাবে পড়ে থাকা অর্থ তহবিলে জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে নগদ লভ্যাংশ বা অর্থ ব্যাংক হিসাবে জমা থাকায় কোনো সুদ অর্জিত হলে, তাও এ তহবিলে দিতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, যেসব প্রতিষ্ঠানের কাছে অবন্টিত লভ্যাংশ রয়েছে তাদেরকে কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের গুলশান করপোরেট শাখায় ‘ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড’ এর হিসাবে চলতি মাসের ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছে। একই সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলোর লভ্যাংশ বিতরণের রিপোর্ট, সংশ্লিষ্ট শেয়ারহোল্ডারের বিস্তারিত তথ্য ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশে (আইসিবি) দিতে হবে। একই সময়ে এসব তথ্যের একটি কপি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), স্টক এক্সচেঞ্জ এবং সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডে (সিডিবিএল) জমা দিতে বলা হয়েছে।
তহবিলে শেয়ার বা টাকা হস্তান্তরের পরও তা দাবি করতে পারবেন সংশ্নিষ্ট বিনিয়োগকারী। নিজের দাবির প্রমাণসহ সংশ্নিষ্ট কোম্পানি বা সম্পদ ব্যবস্থাপক কোম্পানি বা ব্রোকারেজ হাউস বা মার্চেন্ট ব্যাংকের কাছে আবেদন করতে হবে। আবেদনের এক মাসের মধ্যে ওই বিনিয়োগকারীর শেয়ার বা টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
এছাড়া তহবিল থেকে বাজারের তারল্যপ্রবাহ এবং গভীরতা বাড়াতে শেয়ার কেনাবেচা বা ধার প্রদান বা ধার গ্রহণ করা হবে। শেয়ার কেনাবেচা করতে গিয়ে তহবিলের কোনো লোকসান না হয়, তার জন্য সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন করা হবে, থাকবে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও অডিট কমিটি।
জানা গেছে, এ তহবিলের আকার ২০ হাজার কোটি টাকার মতো। এর মধ্যে নগদ লভ্যাংশের পরিমাণ প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা। আর বোনাস স্টক লভ্যাংশের বাজার মূল্য প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা। এ তহবিলটি পরিচালনা করবে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ। তহবিলে শেয়ার বা টাকা হস্তান্তরের পরও তা দাবি করতে পারবেন সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারী। নিজের দাবির প্রমাণসহ সংশ্লিষ্ট কোম্পানি বা সম্পদ ব্যবস্থাপক কোম্পানি বা ব্রোকারেজ হাউস বা মার্চেন্ট ব্যাংকের কাছে আবেদন করতে হবে। আবেদনের এক মাসের মধ্যে ওই বিনিয়োগকারীর শেয়ার বা টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
এর আগে বিএসইসির নিয়মিত ৭৭২তম কমিশন সভায় ‘ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড রুলস, ২০২১’’ এর খসড়া অনুমোদন করা হয়। এর আগে আইনটি করার জন্য জনমত যাচাই করা হয়েছে। পরে গত ২৭ জুন গেজেট প্রকাশ করে সরকার। গতকাল ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে ফান্ড জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় কমিশন।