সম্প্রতি মশাবাহিত এই ভাইরাসে কেরলের এক নারী আক্রান্ত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত হওয়ার পর রাজ্যজুড়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জ জানিয়েছেন, প্রথমবারের মতো একজন আক্রান্ত হয়েছেন। আরও ১৩ জন সন্দেহভাজন রোগী পাওয়া গেছে। তাদের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এরআগে গুজরাটে ২০১৬ ও ২০১৭ সালের দিকে জিকা ভাইরাসের সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়। আর এবার কেরলে প্রথমবারের মতো এক রোগী শনাক্ত হলো।
কেরলে যে অন্তঃসত্ত্বা জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি মঙ্গলবার সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। তার বাড়ি কেরলের তিরুঅনন্তপুরম জেলায়।
জ্বর, মাথা যন্ত্রণা, শরীরের বিভিন্ন অংশে লাল চাকা চাকা দাগ নিয়ে ২৮ জুন একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন এই নারী। হাসপাতালেই তার নমুনা পরীক্ষা হয়। সেই পরীক্ষায় জিকা ভাইরাস ধরা পড়ে।
এই নারী সম্প্রতি কেরলের বাইরে কোথাও যাননি বলেই জানা গেছে। এক সপ্তাহ আগে তার মায়ের শরীরেও জিকা ভাইরাসের উপসর্গ দেখা যায়।
মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায় জিকা ভাইরাস। প্রথমে জ্বর, শরীরের বিভিন্ন অংশে র্যাশ, গাঁটে গাঁটে যন্ত্রণা, চোখ লাল হয়ে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা যায় এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকে পঙ্গুও হয়ে গিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হয় শরীরের বিভিন্ন অংশ।
কয়েক বছর আগে ব্রাজিলে ছড়িয়ে পড়েছিল এই ভাইরাস। করোনার মধ্যে এই ভাইরাস যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, সেটা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে ভারত।