শুক্রবার (৯ জুলাই) পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চে এই নিষেধাজ্ঞার চিঠি দেওয়া হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার কমিশন থেকে এ বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়। আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে আদালত থেকে এ বিষয়ে অনুমতি নেওয়া হবে বলে দুদক সূত্র গণমাধ্যমে জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক গণমাধ্যমে বলেন, ইভ্যালি তার গ্রাহক ও মার্চেন্টদের কাছ থেকে অগ্রিম হিসেবে নেওয়া প্রায় ৩৩৯ কোটি টাকার কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না, এমন অভিযোগ আমলে নিয়ে দুদকের অনুসন্ধান টিম তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র ও তথ্যাদি সংগ্রহ করেছে। অনুসন্ধানে টিম বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরীন ও এমডি মো. রাসেল গোপনে দেশত্যাগের চেষ্টা চালাচ্ছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা দেশত্যাগ করলে অনুসন্ধান কার্যক্রম ব্যাহত হবে বলে মনে করে দুদক। তাই অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান থাকা অবস্থায় অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা যাতে দেশত্যাগ করতে না পারে সেজন্য বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
দুদক জানায়, ইভ্যালির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে ২০২০ সালের নভেম্বরে দুদকের দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি কার্যক্রম শুরু করে। অনুসন্ধানে দেখা যায়, ২০২১ সালের ১৪ মার্চ ইভ্যালির চলতি সম্পদ পাওয়া যায় প্রায় ৬৫ দশমিক ১৮ কোটি টাকা এবং সংস্থাটির মোট দায় প্রায় ৪০৭ দশমিক ১৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে, ইভ্যালি গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম হিসেবে প্রায় ২১৪ কোটি টাকা এবং মার্চেন্টদের কাছ থেকে অগ্রিম হিসাবে নিয়েছে ১৯০ কোটি টাকা। ফলে স্বাভাবিক নিয়মে প্রতিষ্ঠানটির নিট ৪০৪ কোটি টাকার চলতি সম্পদ থাকার কথা থাকলেও প্রতিষ্ঠানটির নিকট চলতি সম্পদ রয়েছে প্রায় ৬৫ দশমিক ১৮ কোটি টাকা, যা দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি তার চলতি দায়ের বিপরীতে মাত্র ১৬ দশমিক ১৪ শতাংশ গ্রাহককে পণ্য সরবরাহ করতে পারবে। তদুপরি গ্রাহক ও মার্চেন্টদের নিকট থেকে গৃহীত ৩৩৯ কোটি টাকার কোনো হদিস খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে উক্ত সম্পূর্ণ অর্থ আত্মসাৎ অথবা অন্যত্র সরিয়ে ফেলার সম্ভাবনা আছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে প্রতীয়মান হয়েছে।