এমন পরিস্থিতিতে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককসহ নয়টি প্রদেশে করোনার বিস্তার রোধে রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করা হয়েছে।
দ্য ব্যাংকক পোস্ট এক প্রতিবেদনে জানায়, শুক্রবার (৯ জুলাই) এক বৈঠক শেষে করোনা টাস্কফোর্সের সরকারি এক কর্মকর্তা এ ঘোষণা দেন। সোমবার (১২ জুলাই) থেকে কারফিউ চালু হবে।
জানা যায়, প্রতিদিন রাত ৯টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত কারফিউ জারি থাকবে। নির্ধারিত এই সময়ে লোকজনকে ঘরে থেকেই কাজ করতে হবে, বিনা প্রয়োজনে বাইরে বের হওয়া নিষেধ।
এছাড়া সুপারমার্কেট, রেস্টুরেন্ট, ব্যাংক, ফার্মেসি ও ইলেকট্রনিক্স স্টোরস খোলা থাকতে পারলেও অন্য সব দোকান বন্ধ থাকবে। আর শপিংমলগুলো রাত ৮টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে। পাঁচ জনের বেশি মানুষ একত্র হতে পারবেন না। আর রাত ৯টা থেকে বন্ধ থাকবে গণপরিবহন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে অন্যান্য বিধিনিষেধের পাশাপাশি রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করেছে থাইল্যান্ড সরকার। রাজধানী ব্যাংককসহ ৯টি প্রদেশে ৭ ঘণ্টার এ কারফিউ জারি করা হয়।
শুক্রবার দেশটির করোনাভাইরাস টাস্কফোর্সের দীর্ঘ বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। সোমবার থেকে প্রতিদিন রাত ৯টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত এ কারফিউ বলবৎ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
সারা বিশ্ব যখন করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছিল তখন থাইল্যান্ডের করোনা পরিস্থিতি ছিল অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। রোগীর সংখ্যা খুবই কম ছিল। এমন কি কয়েক মাস ছিল না কোনো করোনা রোগী।
কিন্তু গত এপ্রিলে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে থাইল্যান্ডে প্রতিদিনই রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। দেশটিতে এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছে ৩ লাখ ২৬ হাজার ৮৩২ জন ও মারা গেছে ২ হাজার ৬২৫ জন।