সোমবার (১২ জুলাই) এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের বিশেষ হাইকোর্ট বেঞ্চ এই নিষেধাজ্ঞা দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ উদ্দিন আহমেদ আসিফ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
জানা যায়, রাজধানীর মিরপুরে নিজেদের একটি আবাসন প্রকল্পের বেদখল জমি উদ্ধার করতে না পেরে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ কল্যাণপুরের হাউজিং এস্টেটের সীমানার ভেতরে ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। হাউজিং এস্টেট প্রকল্পটির বাসিন্দারা বলছেন, যে জায়গায় ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তার একাংশ শিশু-কিশোর ও তরুণেরা খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহার করে। আরেকাংশ গাছগাছালিতে ভরা। ভবন নির্মাণ করতে হলে সেগুলো কাটতে হবে।
গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, মিরপুর ১৪ নম্বরের ভাষানটেক বস্তিসংলগ্ন ধামালকোট এলাকায় ‘গৃহসূচনা’ প্রকল্পের অধীনে আটটি ভবন করার কথা ছিল। কিন্তু যে পরিমাণ জমি তারা উদ্ধার করতে পেরেছে, সেখানে ছয়টি ভবন নির্মাণ সম্ভব হচ্ছে। এই ভবনগুলোর নির্মাণকাজ চলছে ২০১৮ সাল থেকে। বাকি দুটি ভবন তারা কল্যাণপুর হাউজিং এস্টেটের ভেতরের উন্মুক্ত এলাকা হিসেবে নির্ধারিত জমিতে করতে চায়।
কল্যাণপুর হাউজিং এস্টেটের অবস্থান মিরপুরের সরকারি বাঙলা কলেজের ঠিক বিপরীতে। ১৯৮৪ সালে সেখানে প্রায় ১০ একর জমিতে ১২টি ভবন তৈরি করে ২৪০টি ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেওয়া হয়। হাউজিংয়ের বাসিন্দারা জানান, গত ৩০ জুন অভিযান চালিয়ে ফুটবল খেলার মাঠের গোলবার ও কমিউনিটি ক্লাব হিসেবে ব্যবহার করা ভবন ভেঙে ফেলা হয়। এরপর জমি টিনের বেড়া দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়।
এই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে কল্যাণপুর হাউজিং সমবায় সমিতি লিমিটেডের সেক্রেটারি মো. সেলিম হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে কল্যাণপুরে হাউজিং স্টেটের সীমানার ভেতরে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের আবাসিক ভবন নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়।