সোমবার (১২ জুলাই) বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ বিদেশে পলাতক পিকে হালদার কাণ্ডে আলোচনায় আসা আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডকে পুনরুজ্জীবিত করতে এ বোর্ড গঠন করে দেয়।
জানা যায়, এই বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়েছে কামাল উল আলমকে। আর বোর্ডের সদস্যরা হলেন- সাবেক সচিব আনোয়ারুল ইসলাম সিকদার, সাবেক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ হাসান শাহীদ ফেরদৌস, পূবালী ব্যাংকের সাবেক এমডি আব্দুল হালিম চৌধুরী, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) কাজী তৌফিকুল ইসলাম, নুর-এ-খোদা আব্দুল মবিন, মওলা মোহাম্মদ, সঞ্চয়কারীদের প্রতিনিধি ড. নাশিদ কামাল, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের চেয়ারম্যান ড. নুরুল কবির এবং এমডি হিসেবে থাকবেন আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের সাবেক এমডি মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন।
এর আগে ২৮ জুন পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইনান্সিয়াল সার্ভিস লিমিটেডকে (পিএলএফএসএল) পুনরুজ্জীবিত করার আদেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। তার আগে ২১ জুন ২০১ জন আমানতকারী পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড পুনর্গঠন চেয়ে আবেদন করেন। পরে আদালত তাদের বক্তব্য শোনে।
এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষের আইনজীবী তানজীব উল আলম আদালতকে বলেন, এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বক্তব্য রয়েছে। তখন আদালত ২৮ জুন দিন ঠিক করে দিয়েছিলেন। হাইকোর্টে আমাতকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আহসানুল করিম।
পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল সার্ভিস লিমিটেড (পিএলএফএসএল) এর সাময়িক অবাসায়ক (প্রবেশনাল লিক্যুডেটর) মো. আসাদুজ্জামানের পক্ষে ছিলেন মেজবাহুর রহমান। আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড থেকে ঋণ গ্রহীতাদের তলব করে ২১ জানুয়ারি আদেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।
এরপর কয়েক দফায় ঋণখেলাপিরা আদালতে হাজির হয়ে হলফনামা দাখিল করেন এবং ঋণপরিশোধের কথা জানান। পরে প্রতিষ্ঠানটিকে বাঁচাতে গত ৯ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যানের বক্তব্য শুনে হাইকোর্ট।
আদালতের নির্দেশে হাজির না হওয়ায় ওই দিনই ১২২ জনের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয় হাইকোর্ট।