প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের অনলাইনে কোরবানিযোগ্য গবাদিপশু বিক্রয় কার্যক্রম অগ্রগতির সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। গত ২ জুলাই থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত ১১ দিনে অনলাইনে এসব পশু বিক্রি হয়েছে। এখন পর্যন্ত এসব অনলাইন বাজারে গরু, ছাগল ও ভেড়ার ছবি আপলোড হয়েছে ১০ লাখ ৩০ হাজার ৫৯০টি।
প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, সোমবার (১২ জুলাই) একদিনেই ২৯ হাজার ৭৩৬টি পশু বিক্রি হয়েছে ২০৫ কোটি ১৮ লাখ ৮৭ হাজার ৩০ টাকায়। আর গত ১১ দিনে ১ লাখ ৫৭ হাজার ২৮৮টি পশু বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ১১৬ কোটি ৮ লাখ ৮৬ হাজার ৩০০ টাকায়। বাজার বসেছে ১ হাজার ৫৬২টি।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, অনলাইনে পশু বিক্রিতে সবচেয়ে এগিয়ে আছে চট্টগ্রাম বিভাগ। এ বিভাগে ১ লাখ ৫ হাজার ২৪টি পশু ৭২১ কোটি ৮৭ লাখ ২৪ হাজার ৮২৩ টাকায় বিক্রি হয়েছ। পরের স্থানে রয়েছে ঢাকা বিভাগ। এ বিভাগে এখন পর্যন্ত ১৮ হাজার ৩৩০টি পশু বিক্রি হয়েছে ১৮৫ কোটি ২৪ লাখ ২২ হাজার ৫৪৭ টাকায়।
রাজশাহী বিভাগে ১৬ হাজার ৭০৩টি পশু বিক্রি হয়েছে ৯৯ কোটি ৫৪ লাখ ২৩ হাজার ৭৫২ টাকায়। খুলনা বিভাগে ৪ হাজার ৪২৫টি পশু বিক্রি হয়েছে ৩২ কোটি ৩২ লাখ ৩৪ হাজার ৯০০ টাকায়। বরিশাল বিভাগে ১ হাজার ২০৪টি পশু বিক্রি হয়েছে ৮ কোটি ৬২ লাখ ৬৪ হাজার ৪০০ টাকায়।
সিলেট বিভাগে ১ হাজার ৬১টি পশু বিক্রি হয়েছে ৭ কোটি ২০ লাখ ৪৮ হাজার ৪২৮ টাকায়। রংপুর বিভাগে ১০ হাজার ১৯২টি পশু বিক্রি হয়েছে ৫৮ কোটি ৫৬ লাখ ৫৬ হাজার ৪৫০ টাকায়। ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৪৯টি পশু বিক্রি হয়েছে ২ কোটি ৭১ লাখ ১১ হাজার টকায়।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের খামার শাখা সূত্র জানায়, সারাদেশে এ বছর কোরবানিযোগ্য ১ কোটি ১৯ লাখ ১৬ হাজার ৭৬৫টি পশু প্রস্তুত হচ্ছে। গত বছর প্রস্তুত ছিল ১ কোটি ১৮ লাখ ৯৭ হাজার ৫০০টি পশু। আর কোরবানি উপলক্ষে জবাই করা পশুর সংখ্যা ছিল ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ২৬৩টি। অবশ্য আগের বছরগুলোতে ১ কোটি ৪ থেকে ৫ হাজার পশু জবাই হয়েছে।