তিনি বলেন, বাংলাদেশ সামাজিক ও অর্থনৈতিক সূচকে অনেক দ্রুত উন্নতি করছে। অনেক ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের কাছ থেকে ভারত শিক্ষা নিচ্ছে এবং ভবিষ্যতে সেটা (শিক্ষা নেওয়া) অব্যাহত রাখবে।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বুঝতে পেরেছিলেন যে, বাংলাদেশি এবং ভারতীয়দের মধ্যে একটি অভিন্ন ভবিষ্যত আছে। আর তাই তিনি ছিলেন ভারত-বাংলাদেশের মধ্যকার বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্বমূলক সম্পর্কের একজন শক্তিশালী প্রবক্তা।
অনুষ্ঠানে শ্রিংলা বলেন, আমি খুবই খুশি যে, আমরা (ভারত ও বাংলাদেশ) একত্রে একটি অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলেছি। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারত ও বাংলাদেশ অব্যাহতভাবে বিশেষ গুরুত্ব বজায় রেখেছে। যেকোনো দৃষ্টিকোণ থেকেই উভয় জাতির এই বন্ধন খুবই ঘনিষ্ঠ।
তিনি আরও বলেন, ভারতের কূটনীতির প্রধান দুটি স্তম্ভ হলো- প্রতিবেশিদের অগ্রাধিকার এবং অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি (পূর্ব প্রধান নীতি)। এ দু’টি নীতিতেই বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের কাজের অভিন্ন ক্ষেত্র রয়েছে।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর প্রথম বিদেশ সফরে ঢাকায় গিয়েছিলেন (ভারতের) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর এটাই উভয় দেশের মধ্যকার সম্পর্কের কথা বলে দিচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূয়সী প্রশংসা করেন হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। তিনি বলেন, স্বাধীনতার জন্য শেখ মুজিবুর রহমান একটি মহান যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং জাতিকে স্বাধীন করেছেন।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, কেউ তাকে (শেখ মুজিবুর রহমান) বঙ্গবন্ধু বলেন, আবার কেউ তাকে জাতির পিতা বলেন। কিন্তু নিঃসন্দেহে সবার কাছেই তিনি একজন বড় ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব, যিনি আক্ষরিক অর্থেই একটি জাতির গন্তব্য নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের প্রবৃদ্ধি এবং উন্নতির ভিত্তি রচনা করে দিয়েছিলেন উল্লেখ করে হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, বর্তমানে আঞ্চলিক প্রবৃদ্ধির অন্যতম বড় ‘ইঞ্জিন’ হচ্ছে বাংলাদেশ। কারণ সন্তোষজনক অর্থনৈতিক সম্প্রসারণের মাধ্যমে সামাজিক-অর্থনৈতিক সূচকে বাংলাদেশ দ্রুত উন্নতি করছে।
আর এই কারণে অনেক ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের কাছ থেকে আমরা অনেক শিক্ষা নিয়েছি এবং ভবিষ্যতেও আমরা সেটা (শিক্ষা নেওয়া) অব্যাহত রাখবো বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সূত্র: এনডিটিভি