মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় ব্র্যাক ব্যাংক।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৩ জুন মোরশেদের শরীরে কৃত্রিম পা সংযোজন করা হয়। কিছুদিন অনুশীলন আর অভ্যস্ততা তৈরি হবার পর নিজ বাড়িতে ফিরে যান মোরশেদ। ৯৬-তে জন্ম নেয়া এই তরুণ এখন রীতিমতো দৌড়ে বেড়ান তার ক্রিকেট অনুশীলনে।
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার আলতাফ হোসেনের ছেলে মোরশেদ আলম। ঘর থেকে কোনো রকমে খেলার মাঠ অব্দি চলাফেরা করতে পারলেও নানা অসুবিধার মুখোমুখি হতেন মোরশেদ। আর্থিক টানাপড়েনের কারণে সঠিক চিকিৎসা করাতে পারেনি তার পরিবার।
মোরশেদের ব্যাপারে জানতে পেরে তার স্বপ্নজয়ের অদম্য ইচ্ছাকে স্বাগত জানিয়ে এগিয়ে আসে ব্র্যাক ব্যাংক। ব্র্যাক লিম্ব অ্যান্ড ব্রেস সেন্টারের তত্ত্বাবধানে বিনামূল্যে কৃত্রিম পা সংযোজন করা হয় তার শরীরে। মোরশেদ বলেন, আমি আগের চেয়ে অনেক ভালো আছি, হাঁটতে পারি, খেলতে পারি। আগে হাঁটতে গেলে ব্যথা পেতাম, এখন আর সমস্যা হয় না। পায়েও চাপ পড়ে না। আমার মা-বাবাও ভীষণ খুশি হয়েছেন। অনেক বন্ধু দেখতে আসেন। কৃত্রিম পা পেয়ে এখন স্বপ্ন দেখছি। আগে ক্রিকেট খেলতে কষ্ট হতো, এখন অনেক সাবলীলভাবে খেলতে পারি।
ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও সেলিম রেজা ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্র্যাক ব্যাংকের মূল লক্ষ্য সমাজের কেউ যেন পিছিয়ে না থাকে। আর তাই বিভিন্নভাবে সমাজের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে অংশীদারিত্বের মধ্য দিয়ে মানুষের জন্য কাজ করছি আমরা। মোরশেদের স্বপ্নজয়ের যাত্রায় অংশ হতে পেরে ব্র্যাক ব্যাংক গর্বিত।’
ব্র্যাক লিম্ব অ্যান্ড ব্রেস সেন্টারের ‘পুওর ফান্ড’-এ প্রতি বছর আর্থিক সহায়তা প্রদান করে ব্র্যাক ব্যাংক। আর তা দিয়ে অসহায় মানুষদের কৃত্রিম অঙ্গ সংযোজনের ব্যয়ভার বহন করা হয়। গত ১৭ মার্চ দেশের একটি দৈনিক পত্রিকায় কৃত্রিম পায়ের অভাবে স্কুলে যেতে না পারা ঈশিতা’র ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন ছাপা হলে এগিয়ে আসে ব্র্যাক ব্যাংক। ব্র্যাক লিম্ব অ্যান্ড ব্রেস সেন্টারের সহযোগিতায় ৫ এপ্রিল ঈশিতাকে বিনামূল্যে একটি কৃত্রিম পা সংযোজন করে দেয়া হয়।