এ সময় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১২ হাজার ২৩৬ জন। এতে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১০ লাখ ৭১ হাজার ৭৭৪ জনে।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে, বুধবার ২১০ জনের মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার ২০৩, সোমবার ২২০ ও রোববার রেকর্ড ২৩০ জন মারা যান। তার আগে শনিবার (১০ জুলাই) ১৮৫, শুক্রবার ২১২ ও বৃহস্পতিবার ১৯৯ জনের মৃত্যু হয়। গত ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়ায়। এদিন মৃত্যু হয় ২০১ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৪৬ হাজার ৬০৪ জনের। পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৪ হাজার ৯৪১টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২৭ দশমিক ২৩ শতাংশ। দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৭৭ লাখ ৪৪ হাজার ৪২০টি। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৫ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ২৩৬ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৯ লাখ ৫ হাজার ৮০৭ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ঢাকা বিভাগেরই ৭৪ জন। এছাড়া খুলনায় ৫২, চট্টগ্রামে ৪২, রাজশাহীতে ২৪, বরিশালে ৬, সিলেটে ৫, রংপুরে ১৩ এবং ময়মনসিংহে ১০ জন মারা গেছেন।
মারা যাওয়াদের মধ্যে ১৪০ জন পুরুষ এবং ৮৬ জন নারী। এদের মধ্যে ২০ জন বাসায় মারা গেছেন। বাকিরা হাসপাতালে মারা গেছেন। এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ১২ হাজার ৫৩ জন এবং নারী ৫ হাজার ২২৫ জন।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১২১ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৪৯, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ৩৬, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১২, ২১ থেকে ৩০ বছরের ৬ জন, ১১ থেকে ২০ বছরের ১ এবং ১০ বছরের কম বয়সী একজন রয়েছেন।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।