দেশটিতে এ ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে নিউ ইয়র্কে। সেখানে ইতোমধ্যেই মৃতের সংখ্যা দেড় হাজার ছাড়িয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজের পরিচালক ডা. অ্যান্থনি ফাউসি। তার আশঙ্কা, দেশটিতে এ ভাইরাসে দুই লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে। গত ২৯ মার্চ সিএনএন-এর স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন শীর্ষক টক শোতে এমন আশঙ্কার কথা জানান তিনি। তার শঙ্কা, যুক্তরাষ্ট্রে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে।
ওয়াশিংটন স্কুল অব মেডিসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের আশঙ্কা, যুক্তরাষ্ট্রে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা সর্বোচ্চ হতে পারে এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে। সেক্ষেত্রে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় হাসপাতালগুলোর ওপর চাপ বাড়বে। মহামারির চূড়ান্ত পর্যায়ে হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ও প্রয়োজনীয় ভেন্টিলেটরেরও সংকট দেখা দিতে পারে। তবে সবচেয়ে বেশি উপদ্রুত নিউ ইয়র্কে ইতোমধ্যেই ভেন্টিলেটরের সংকট দেখা দিয়েছে।
৩১ মার্চ মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সময় তিনি সামনে অত্যন্ত বেদনাদায়ক সপ্তাহ আসছে বলে মন্তব্য করেন। তার ভাষায়, ‘আসন্ন দুইটি সপ্তাহ হতে যাচ্ছে খুব, খুবই বেদনাদায়ক।’ আসন্ন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।