দেশটির আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি নথিতে বলা হয়েছে, প্রাপ্তবয়স্ক বন্দিরা সাজার দুই-তৃতীয়াংশ মেয়াদ পূর্ণ করে থাকলে তারা পেরোলে মুক্তি পাবে।
আর শিশুদের ক্ষেত্রে মেয়াদের অর্ধেক সময় কারাভোগ করে থাকলে তারা মুক্তি পাবে। প্যারোলেই প্রায় ৩০ হাজার বন্দি মুক্তি পেতে পারে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।
ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের চতুর্থ জনবহুল দেশ। সেখানে করোনাভাইরাস মহামারী পরিস্থিতিতে জরুরি অবস্থা জারি রয়েছে। দেশটিতে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৪১৪ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ১২২ জন।
সরকারি হিসাবমতে, ইন্দোনেশিয়াজুড়ে বন্দি আছে ২৭০,৩৮৬ জন। এ সংখ্যা জেলগুলোর ধারণক্ষমতার দ্বিগুণেরও বেশি।
অনেক জেলেই পর্যাপ্ত স্যানিটেশনের ব্যবস্থা না থাকায় জেলের বন্দিরা করোনাভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকিতে আছে। একারণেই ঝুঁকি কমাতে বন্দি মুক্তির এ পদক্ষেপ নিচ্ছে দেশটি।
একই কারণে বন্দি মুক্তির পদক্ষেপ নিচ্ছে তুরস্কও। করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে ৯০ হাজার বন্দিকে হয় গৃহবন্দি করে রাখা কিংবা প্যারোলে মুক্তি দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে তুরস্ক।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ান মঙ্গলবার ৪৫ হাজার বন্দিকে সাময়িকভাবে মুক্তি দেওয়ার একটি বিল প্রস্তাব করেছেন।
আর এ বিলেরই আলাদা একটি সংশোধনীর আওতায় আরো ৪৫ হাজার বন্দিকে স্থায়ীভাবে মুক্তি দেওয়া হবে। জেলগুলোতে বন্দিদের উপচে পড়া ভিড় কমাতে এ পদক্ষেপ নিচ্ছে দেশটি।।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ইরান ইতোমধ্যে ৮৫ হাজার বন্দিকে সাময়িক মুক্তি দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, উত্তর আয়ারল্যান্ডও কিছু বন্দি মুক্তি দিয়েছে।
ভারতেও বন্দিদেরকে ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্য সরকার ৫ হাজার বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। বন্দি মুক্তির চিন্তাভাবনা করছে বাংলাদেশও