গেব্রেইয়েসুস বলেছেন, ভ্যাকসিনের অসম বণ্টন এই সঙ্কটকে আরও গুরুতর করার ঝুঁকি তৈরি করেছে। তবে মহামারি-ক্লান্ত বিশ্বের কাছে এবারের অলিম্পিক একটি ‘আশার বার্তা’ হতে পারে।
তিনি বলেছেন, ‘মহামারি একটি পরীক্ষা; যা মোকাবিলায় বিশ্ব ব্যর্থ হয়েছে। ৪০ লাখের বেশি মানুষ মারা গেছেন এবং মৃত্যু অব্যাহত আছে। ইতোমধ্যে এই বছরে মৃত্যুর সংখ্যা গত বছরের মোট মৃত্যুর তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই প্রধান বলেছেন, ‘মহামারির হুমকি সর্বত্র শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেউই মুক্ত নয়। যদি কেউ মনে করেন যে, মহামারি ফুরিয়ে গেছে, তাহলে তিনি বোকার স্বর্গে বাস করছেন।’
টোকিওর বিলাসবহুল একটি রেস্টুরেন্টে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির এক অধিবেশনে এসব কথা বলেছেন টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস। এ সময় অলিম্পিক কমিটির প্রতিনিধিদের মাস্ক পরিহিত দেখা গেলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধানের মুখে তা দেখা যায়নি। বক্তৃতা শেষে টেড্রোসের হাতে অলিম্পিকের একটি প্রতীকী মশাল তুলে দেন আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রধান থমাস বাচ।
২০১১ সালে ভূমিকম্প, সুনামি এবং পারমাণবিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হওয়া ফুকুশিমায় অলিম্পিকের ক্রীড়া কর্মসূচির উদ্বোধন হয়েছে। টোকিও অলিম্পিক শুক্রবার এক অনাড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদ্বোধন করা হবে; এবারের এই ক্রীড়াযজ্ঞ প্রায় রুদ্ধদ্বার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। করোনাভাইরাসের উল্লম্ফনের কারণে জাপানের রাজধানীতে ইতোমধ্যে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
ডব্লিউএইচও প্রধান বলেছেন, বিশ্বের মাত্র ১০টি দেশে করোনাভাইরাসের ৭৫ শতাংশ ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে। কেউ কেউ খুলছে আবার কেউ কেউ লকডাউনে যাচ্ছে। এটি এমন একটি জিনিষ; যা নরকের আগুনের মতো। আপনি যদি এর একাংশ নিভিয়ে ফেলেন অন্য অংশ জ্বলতে থাকবে।
সূত্র: এএফপি।