তিনি গত মঙ্গলবার পৃথকভাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার, ইইউ রাষ্ট্রদূত রেনসে টেরিঙ্ক এবং এমঅ্যান্ডএসের বাংলাদেশ প্রধান স্বপ্না ভৌমিককে চিঠি দেন। বিজিএমইএর নেতারা বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেন।
বিজিএমইএর সভাপতি তিনটি পৃথক চিঠি দিলেও সেগুলোর মূল কথা কাছাকাছি। তিনি লিখেছেন, করোনার মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পোশাক কারখানা চালানোর কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোর ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানগুলো সময়মতো পণ্য পেয়েছে।
তবে শ্রমিকদের সুরক্ষার জন্য টিকার বিকল্প নেই। ইতিমধ্যে নিবন্ধন ছাড়াই পোশাক কারখানার শ্রমিকদের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। সরকারও বিপুলসংখ্যক পোশাকশ্রমিককে টিকা দেওয়ার বিষয়ে আন্তরিক। তবে সবকিছু নির্ভর করছে টিকার প্রাপ্যতার ওপর। সে কারণে পোশাক কারখানার উৎপাদন নিরবচ্ছিন্ন রাখতে যার যার অবস্থান থেকে টিকা ও র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট কিট পাঠিয়ে সহায়তা করলে কাজটি সহজ হয়।
বিজিএমইএর সভাপতি মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলারকে বিশেষভাবে লিখেছেন, ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশকে টিকা উপহার হিসেবে পাঠিয়েছে। নতুন করে যদি আরও টিকা দেওয়ার মতো সুযোগ থাকে, তাহলে পোশাক খাত ও বাংলাদেশ বিশেষভাবে উপকৃত হবে। করোনা শনাক্তের মাধ্যমে আক্রান্ত ব্যক্তিদের আইসোলেশনে রেখে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট কিটও চেয়ে অনুরোধ করেন তিনি। এ ছাড়া ইইউ রাষ্ট্রদূত রেনসে টেরিঙ্ককে পোশাক শ্রমিকদের জন্য করোনার টিকাপ্রাপ্তিতে এবং এমঅ্যান্ডএসের বাংলাদেশ প্রধান স্বপ্না ভৌমিককে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট কিট প্রদানে সহযোগী চেয়ে অনুরোধ করেন ফারুক হাসান।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গাজীপুরের চারটি তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের গত ১৮ জুলাই করোনার প্রতিষেধক টিকাদান শুরু হয়। পোশাকশ্রমিকদের দ্রুত টিকার আওতায় আনতে নিবন্ধন ছাড়াই টিকা দেওয়া হচ্ছে। কারখানাগুলো হচ্ছে কোনাবাড়ি এলাকার তুসুকা ডেনিম, তুসুকা ওয়াশিং, গাজীপুরের লক্ষ্মীপুরা এলাকার স্পেরো অ্যাপারেলস ও ভোগরা এলাকার রোজভ্যালি গার্মেন্টস।