সারাদেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরি, এর সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় জনগোষ্ঠীকে জরুরি সহায়তা দিতে ব্র্যাকের উদ্যোগে পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের নয়টি বেসরকারি ব্যাংক।
যারা এখন পর্যন্ত মোট ১৫ কোটি ৯১ লাখ ৯৩ হাজার ৭২৮ টাকা অনুদান দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। অনুদানের ওই টাকা ব্যয় হবে ঝুঁকিপূর্ণ ২০ জেলায়।
বুধবার (৪ আগস্ট) ব্র্যাকের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ ‘করপোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি’ (সিএসআর) কার্যক্রমের আওতায় ব্যাংকগুলো ব্র্যাকের ‘ডাকছে আবার দেশ এবং ‘করোনা প্রতিরোধে সামাজিক দুর্গ’-এ দুটি কার্যক্রমে যোগ দিয়েছে।
যুক্ত হওয়া ব্যাংকগুলো হলো- ব্র্যাক ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক এবং ডাচ বাংলা ব্যাংক।
এ বিষয়ে ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ বলেন, এই নয়টি ব্যাংকের কাছ থেকে পাওয়া সময়োপযোগী সহযোগিতাকে আমরা স্বাগত জানাই। সমন্বিত এই অনুদান ব্র্যাকের করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নেওয়া উদ্যোগ-করোনা প্রতিরোধে সামাজিক দুর্গ এবং ডাকছে আবার দেশ- এ কাজে লাগানো হবে। উদ্যোগ দুটির মূল কার্যক্রম হলো- মাস্ক বিতরণ এবং মেডিকেল সহায়তার মাধ্যমে কমিউনিটিতে রিসিলিয়েন্স গঠন এবং লকডাউনের কারণে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে থাকা পরিবারগুলোতে জরুরি আর্থিক সহায়তা দেওয়া। এ সহায়তা বেসরকারি খাতের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই কঠিন সময়ে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে অনুপ্রাণিত করবে এবং সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সহায়তায় এগিয়ে আসার প্রয়াসকে আরও বেগবান করবে।
জানা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি এই মহামারির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীকে প্রয়োজনীয় সহায়তার মাধ্যমে সামাজিক দায়বদ্ধতা পালনের উদ্দেশ্যে ব্যাংকগুলোকে বিশেষ সিএসআর কার্যক্রম পরিচালনা-সংক্রান্ত নির্দেশনা দেয়।
এই নয়টি ব্যাংকের প্রতিশ্রুত টাকা থেকে ‘ডাকছে আবার দেশ’ উদ্যোগের অধীনে ব্যয় হবে ১৩ কোটি ৫৭ লাখ ৪০ হাজার ৫০০ টাকা, যা দিয়ে ৭২ হাজার ১৬০টি পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে। বাকি অর্থ দিয়ে ‘করোনা প্রতিরোধে সামাজিক দুর্গ’ প্রকল্পের অধীনে ১৮ লাখ মানুষকে মাস্ক এবং অন্যান্য করোনা প্রতিরোধ সামগ্রী বিনামূল্যে বিতরণের পাশাপাশি এই রোগের লক্ষণযুক্ত দশ হাজার মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হবে। ব্যাংকগুলোর এই অনুদান করোনার উচ্চঝুঁকিপূর্ণ ২০ জেলা, বিশেষত রাজশাহী এবং খুলনা বিভাগের জেলাগুলোতে ব্যয় করা হবে। নয়টি ব্যাংকের মধ্যে ব্যাংক এশিয়া এবং ঢাকা ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর প্রক্রিয়াধীন।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ৩৫টি জেলায় কমিউনিটিকে সংযুক্তি করা এবং স্থানীয় পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা খাতকে শক্তিশালী করা হচ্ছে। মাস্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করার পাশাপাশি নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, হাঁচি-কাশি দেওয়ার সময় যথাযথ সতর্কতা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার প্রচারণা এবং ভ্যাকসিন রেজিস্ট্রেশনের সচেতনতামূলক বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ভুল তথ্য ও গুজব নিরসনেরও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে ‘ডাকছে আবার দেশ’ উদ্যোগটির মাধ্যমে প্রথম দফায় করোনার উচ্চঝুঁকিতে থাকা ১৯টি জেলায় ৫০ হাজার পরিবারে জরুরি খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে ব্র্যাক। প্রাথমিক সহায়তার এই তহবিল গঠিত হয়েছে ব্র্যাকের কর্মীদের একদিনের বেতন অনুদান এবং এর সঙ্গে ব্র্যাকের সমপরিমাণ অর্থ অনুদান মিলিয়ে।
যারা এখন পর্যন্ত মোট ১৫ কোটি ৯১ লাখ ৯৩ হাজার ৭২৮ টাকা অনুদান দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। অনুদানের ওই টাকা ব্যয় হবে ঝুঁকিপূর্ণ ২০ জেলায়।
বুধবার (৪ আগস্ট) ব্র্যাকের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ ‘করপোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি’ (সিএসআর) কার্যক্রমের আওতায় ব্যাংকগুলো ব্র্যাকের ‘ডাকছে আবার দেশ এবং ‘করোনা প্রতিরোধে সামাজিক দুর্গ’-এ দুটি কার্যক্রমে যোগ দিয়েছে।
যুক্ত হওয়া ব্যাংকগুলো হলো- ব্র্যাক ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক এবং ডাচ বাংলা ব্যাংক।
এ বিষয়ে ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ বলেন, এই নয়টি ব্যাংকের কাছ থেকে পাওয়া সময়োপযোগী সহযোগিতাকে আমরা স্বাগত জানাই। সমন্বিত এই অনুদান ব্র্যাকের করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নেওয়া উদ্যোগ-করোনা প্রতিরোধে সামাজিক দুর্গ এবং ডাকছে আবার দেশ- এ কাজে লাগানো হবে। উদ্যোগ দুটির মূল কার্যক্রম হলো- মাস্ক বিতরণ এবং মেডিকেল সহায়তার মাধ্যমে কমিউনিটিতে রিসিলিয়েন্স গঠন এবং লকডাউনের কারণে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে থাকা পরিবারগুলোতে জরুরি আর্থিক সহায়তা দেওয়া। এ সহায়তা বেসরকারি খাতের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই কঠিন সময়ে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে অনুপ্রাণিত করবে এবং সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সহায়তায় এগিয়ে আসার প্রয়াসকে আরও বেগবান করবে।
জানা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি এই মহামারির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীকে প্রয়োজনীয় সহায়তার মাধ্যমে সামাজিক দায়বদ্ধতা পালনের উদ্দেশ্যে ব্যাংকগুলোকে বিশেষ সিএসআর কার্যক্রম পরিচালনা-সংক্রান্ত নির্দেশনা দেয়।
এই নয়টি ব্যাংকের প্রতিশ্রুত টাকা থেকে ‘ডাকছে আবার দেশ’ উদ্যোগের অধীনে ব্যয় হবে ১৩ কোটি ৫৭ লাখ ৪০ হাজার ৫০০ টাকা, যা দিয়ে ৭২ হাজার ১৬০টি পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে। বাকি অর্থ দিয়ে ‘করোনা প্রতিরোধে সামাজিক দুর্গ’ প্রকল্পের অধীনে ১৮ লাখ মানুষকে মাস্ক এবং অন্যান্য করোনা প্রতিরোধ সামগ্রী বিনামূল্যে বিতরণের পাশাপাশি এই রোগের লক্ষণযুক্ত দশ হাজার মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হবে। ব্যাংকগুলোর এই অনুদান করোনার উচ্চঝুঁকিপূর্ণ ২০ জেলা, বিশেষত রাজশাহী এবং খুলনা বিভাগের জেলাগুলোতে ব্যয় করা হবে। নয়টি ব্যাংকের মধ্যে ব্যাংক এশিয়া এবং ঢাকা ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর প্রক্রিয়াধীন।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ৩৫টি জেলায় কমিউনিটিকে সংযুক্তি করা এবং স্থানীয় পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা খাতকে শক্তিশালী করা হচ্ছে। মাস্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করার পাশাপাশি নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, হাঁচি-কাশি দেওয়ার সময় যথাযথ সতর্কতা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার প্রচারণা এবং ভ্যাকসিন রেজিস্ট্রেশনের সচেতনতামূলক বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ভুল তথ্য ও গুজব নিরসনেরও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে ‘ডাকছে আবার দেশ’ উদ্যোগটির মাধ্যমে প্রথম দফায় করোনার উচ্চঝুঁকিতে থাকা ১৯টি জেলায় ৫০ হাজার পরিবারে জরুরি খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে ব্র্যাক। প্রাথমিক সহায়তার এই তহবিল গঠিত হয়েছে ব্র্যাকের কর্মীদের একদিনের বেতন অনুদান এবং এর সঙ্গে ব্র্যাকের সমপরিমাণ অর্থ অনুদান মিলিয়ে।
