তবে সে নিষেধাজ্ঞা সামান্য শিথিল করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এখন থেকে দুবাই হয়ে আমিরাতে প্রবেশ করতে পারবে বাংলাদেশীরা।
একইভাবে আফগানিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভিয়েতনাম ও জাম্বিয়ার নাগরিকরাও এই সুবিধা পাবেন। জানাগেছে এসব দেশের কোন নাগরিক যদি আমিরাতের কোন দেশে যেতে চান তাহলে তাদের আগে দুবাই ট্রানজিট হয়ে তারপর অন্যান্য দেশে যেতে পারবেন। এসব দেশের নাগরিকদের ট্রানজিট হিসেবে দুবাইকে ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
জানা গেছে, দুবাই বিমানবন্দরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করণের জন্য সব ধরনের সুবিধা রয়েছে। এই বিমানবন্দর দিয়ে হাটা চলা করার সময় যদি কারো শরীরে জ্বর থাকে তাহলে স্বয়ংক্রীয় ভাবে দেয়ালে লাগানো স্ক্রীনে সেটা ভেসে উঠবে। সাথে সাথে সেটি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে চলে আসবে। এরপর তার করোনা পরীক্ষা করে দেখা হবে।
সেজন্য যাত্রীদের দুবাই আসার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করোনার নেগেটিভ সনদ দেখাতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে এমিরেটস এয়ারলাইন্স।
গালফ বিজনেসের এক প্রতিবেদনে জানায়, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুটি রাষ্ট্রায়াত্ত বিমান পরিবহন সংস্থা এমিরেটস ও ইতিহাদ এয়ারওয়েজ তাদের নিজ নিজ ওয়েবসাইটে পূর্বে ভ্রমণ স্থগিতঘোষিত কিছু দেশ থেকে যাত্রী পরিবহন সংক্রান্ত নীতিমালা হালনাগাদ করেছে।
দুবাই-ভিত্তিক বিমান সংস্থা এমিরেটস জানিয়েছে, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল (ফ্লাইদুবাই পরিচালিত), নাইজেরিয়া ও উগান্ডা থেকে যোগ্য ভ্রমণকারীরা আমিরাতে যেতে অথবা ট্রানজিট নিতে পারবেন। আগামী ৫ আগস্ট থেকে এই সুবিধা পাবেন তারা।
তবে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভিয়েতনাম ও জাম্বিয়ার যোগ্য ভ্রমণকারীরা কেবল ট্রানজিট রুট হিসেবে আমিরাত প্রবেশ করতে পারবেন। এই সুবিধাও ৫ আগস্ট থেকে দেওয়া হবে।