বুধবার (৪ আগস্ট) দুপুরে কোম্পনীগঞ্জের চরএলাহী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বামনী নদীর পাড়ে দেখে আটক করে স্থানীয় এলাকাবাসী। বিকেলে উপজেলার চর এলাহী ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয় থেকে তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
আটককৃত রোহিঙ্গারা জানান, ৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে ভাসানচরের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পালিয়ে দালালের মাধ্যমে ইঞ্জিন চালিত ট্রলারে করে কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেছিল তারা। কিন্তু দালালরা কৌশলে আমাদের কুতুপালং ঘাটের কথা বলে হেঞ্জু মাঝিরঘাটে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়।
আটককৃত রোহিঙ্গা হলো, ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হারজিনা (২৪) মো. রফিক (২৯) সাবিকুন নাহার (৩৭) জান্নাত উল্যাহ (২) মো. রশিদ (১৭) খায়রুল আমিন (২৪) জাহেদা বেগম (২২) সাইদুল আমিন (৩০) সামছুন নাহার (১) নুর আলম (২০) জাহিদ হোসেন (১৮) রেয়াজুল ইসলাম (২৯) সাইদুর আলম (১৪) নুর ইসলাম (৬০)।
চর এলাহী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিকেল তিনটার দিকে আমার ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড থেকে ১৪ জন রোহিঙ্গাকে আটক করে স্থানীয় জনতা আমাকে জানায়। আমি আটককৃত রোহিঙ্গাদেরকে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে এসে কোম্পানিগঞ্জ থানাকে বিষয়টি অবগত করি এবং পুলিশের নিকট তাদের সোপর্দ করি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান, ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে বিদেশী নাগরিক আইনে মামলা দায়ের করা হবে। বৃহস্পতিবার আটককৃত রোহিঙ্গাদের কারাগারে পাঠানো হবে।