বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
চিঠিতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিখেছেন, আমাদের অবশ্যই দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, স্থিতিস্থাপকতা এবং প্রশমনের ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক সমঝোতা স্মারকটি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করতে হবে।
জয়শঙ্কর আশা প্রকাশ করেন, এই প্রক্রিয়াগুলো দুই দেশকে ভবিষ্যতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় খুব ভালোভাবে সহায়তা করবে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সমঝোতা স্মারক বাস্তবায়ন হলে একে অপরের কাছ থেকে দুর্যোগ মোকাবিলার অনুশীলন শেখার পাশাপাশি একে অপরকে সহায়তা করতে পারবে।
ড. মোমেনকে লেখা চিঠিতে জয়শঙ্কর বলেন, আমরা আনন্দিত যে বাংলাদেশ আমাদের দুর্যোগ প্রতিরোধক অবকাঠামোর জন্য কোয়ালিশনে যোগদানের আমন্ত্রণ গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গত ২৫ জুলাই ভারতের মহারাষ্ট্রে ভূমিধসে প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ করে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করকে চিঠি লেখেন ড. মোমেন। সেই চিঠিতে মোমেন উল্লেখ করেছিলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান বিপর্যয়ের আলোকে দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি পরিচালনা করতে বাংলাদেশ ও ভারতের একসঙ্গে কাজ করা দরকার।
ড. মোমেনের চিঠির প্রেক্ষাপট টেনে জয়শঙ্কর বলেন, মোমেন উল্লেখ করেছেন, সমগ্র বিশ্ব; বিশেষ করে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চল ঘন ঘন জলবায়ু সংক্রান্ত দুর্যোগের সাক্ষী।
জয়শঙ্কর মহারাষ্ট্রের সাম্প্রতিক বন্যায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের জন্য শোক বার্তা পাঠানোর জন্য মোমেনকে ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের মার্চে নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরে বাংলাদেশ ও ভারত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্বাক্ষর করেছে।