চিঠিতে তিনি বলেন, বাপা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধিত সংগঠন। বর্তমানে এ সংগঠনের প্রায় ৩০০ সদস্য কৃষিভিত্তিক খাদ্য উৎপাদন, বিপণন ও রপ্তানি কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত। আমাদের সদস্যরা দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিশ্বের প্রায় ১৪০টি দেশে প্রক্রিয়াজাত কৃষি খাদ্যপণ্য রপ্তানি করে আসছে। বিগত অর্থবছরে এ খাতে রপ্তানি আয় প্রায় ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত বছরের তুলনায় ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে এই খাতে রপ্তানি অর্ডার ছিল ঈর্ষণীয়। কিন্তু আমাদের দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে রপ্তানি কার্যক্রম হঠাৎ ব্যাহত হচ্ছে। এখন এ দুর্যোগকালীন সময়ে আমরা প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনা মেনে খাদ্য উৎপাদন কাজ চালিয়ে যেতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখি, যাতে করে দেশে কোন খাদ্য সংকট না হয়। পাশাপাশি রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাহত না হয় এবং কৃষক যেন তার উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পায়।
চিঠিতে অভিযোগ করা হয়, তবে গত কিছুদিন যাবত আমরা লক্ষ্য করছি, আপনার মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ চট্টগ্রাম প্ল্যান্ট কোয়ারেন্টিন উইং কর্তৃক আমাদের সদস্যদের ফাইটো সনদ প্রদানে গড়িমসি করছে। তারা রপ্তানি পণ্যের অনুকুলে বিএসটিআই কর্তৃক ইস্যুকৃত হেলথ সার্টিফিকেট দাবি করছে। আপনি অবগত আছেন, বাংলাদেশে অদ্যবধি হেলথ সার্টিফিকেট ইস্যু করার কোন অথরিটি না থাকায় রপ্তানিকারকরা ফাইটো সনদের মাধ্যমে ওই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ঢাকা থেকে বিগত ছুটির দিনগুলোতে কোন প্রকার ফাইটো সনদ ইস্যু না হওয়া, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর কার্যক্রম বন্ধ থাকায় যথাসময়ে জিএসপি সনদ ইস্যু না হওয়ায় রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়াও কিছু কিছু দেশ কন্টেইনার, পণ্য ও উৎপাদন কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের করোনা ফ্রি সনদ চাচ্ছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি বিবেচনা করে হেলথ সার্টিফিকেট, করোনা ফ্রি সনদ ইস্যু করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষ সৃষ্টি করা, জিএসপি ইস্যু এবং বর্তমান কার্যক্রম চালিয়ে যেতে ঢাকা বা চট্টগ্রাম থেকে ফাইটো সনদ ইস্যুর জটিলতা লাঘবে আপনার সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি। ওই বিষয়ে আপনি তড়িত সিদ্ধান্ত না নিলে রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাহত হবে, যার ফলে রপ্তানিকারক তথা দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।