ইয়োকোহামা স্টেডিয়ামে সোনা জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নেমে ম্যাচের প্রধমার্ধে ম্যাথিউস কুনিয়ার গোলে ব্রাজিল এগিয়ে গেলেও দ্বিতীয়ার্ধে গোল পেয়ে স্পেনকে সমতায় ফেরায় ওয়ারজাবাল। কিন্তু অতিরিক্ত সময়ে ম্যালকমের গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ব্রাজিল।
এতে ২০১৬ সালের পর টানা দ্বিতীয়বার অলিম্পিকের সোনা জিতলো সেলেসাওরা। এ জয়ে ইতিহাসের পঞ্চম দেশ হিসেবে পরপর দু’বার সোনা জেতার কীর্তি অর্জন করলো ব্রাজিল।
শুরুতেই আক্রমণাত্মক শুরু করে দু’দল। তবে সুবিধা করতে পারেনি কেউই। ১৬ মিনিটে দারুণ এক সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি স্পেন। ১৯ মিনিটে সুযোগ পায় ব্রাজিল। রিচার্লিসনের পাস থেকে বল পায় দগলাস লুইজ। শট করে বল ডি বক্সে পাঠাতেই গার্সিয়ার পায়ে লেগে আত্মঘাতী গোল হওয়ার আগেই গোলকিপার সিমন তা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আনেন। এরপর ২৫ ও ৩৪ মিনিটে সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি ব্রাজিল।
তবে প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে ক্লাউদিনহোর পাস থেকে কুনিয়ার উদ্দেশ্যে ডি বক্সে বল পাঠান দানি আলভেস। সফলভাবে পাসটি থেকে স্পেনের জালে বল ভেড়ায় এ ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। ফলে এগিয়ে থেকেই প্রথমার্ধ শেষ করে সেলেকাওরা।
বিরতির পর মাঠে নেমেই দুর্দান্ত শুরু করে স্পেন। ৬১ মিনিটে ওয়ারজাবালের গোলে সমতায় ফেরে স্পেন। ডান দিক থেকে মিকেল সোলারের দেয়া পাস হাফ ভ্যলিতে ব্রাজিলের গোলপোস্টে পাঠান এ ফরোয়ার্ড। আক্রমণে স্পেন এগিয়ে থাকলেও শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোল না হলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে শুরুতেই আক্রমণাত্মক ছিল ব্রাজিল। ৯৭, ৯৯ ও ১০১ মিনিটে করা পরপর তিনটি আক্রমণে দুর্দান্ত ডিফেন্ড করে সেলেকাওদের থামিয়ে দিয়েছে স্প্যানিশরা। দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণের ধারা অব্যাহত রেখে অবশেষে গোলের দেখা পেল ব্রাজিল। ১০৯ মিনিটে মাঝমাঠে অ্যান্তোনির লং পাস থেকে টেনে নিয়ে স্প্যানিশদের গোলপোষ্টে বল জড়ান ম্যালকম। শেষ মুহূর্তের এই গোলে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে টানা দ্বিতীয়বারের মতো স্বর্ণপদক নিজেদের করে নেয় সেলেকাওরা।