রোববার (৮ আগস্ট) মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত থেকে দুস্থ নারীদের উপহারের অর্থ প্রদান করেন।
অনুদানের টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে পুরো খরচ বহন করেছে দেশের সবচেয়ে দ্রুতবর্ধনশীল মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’। এক্ষেত্রে প্রতিজন দুস্থ নারী তাদের প্রাপ্ত দুই হাজার টাকা ক্যাশ আউট করার চার্জ হিসেবে অতিরিক্ত ৩০ টাকা করে নিজেদের ‘নগদ’ অ্যাকাউন্টে পেয়েছেন।
দুস্থ নারীর সংখ্যা নির্ধারণ এবং বাছাইয়ের পুরো কাজ করেছে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জাতীয় মহিলা সংস্থা।
বঙ্গমাতার জন্মদিনের এমন একটি মহতী উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরে গোটা ‘নগদ’ পরিবার গর্বিত বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক।
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের চাওয়া পাওয়াকে অগ্রাধিকার দিয়ে ‘নগদ’ সব সময় জনবান্ধব সব সেবা দিয়ে আসছে। ‘নগদ’ সব সময়ই জনহীতকর এসব কাজে সরকারের পাশে দাঁড়াচ্ছে। আমাদের এমন অনুসরণীয় কাজের ফলে দেশের প্রতিটি প্রান্তের মানুষের কাছে ডিজিটাল আর্থিক সেবার সুবিধা দ্রুততার সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ছে, যা সর্বপরি প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ রূপকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখছে বলে আমার বিশ্বাস।
এর আগে ২০২০ সালেও একইভাবে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মদিনে ‘নগদ’র মাধ্যমে দুস্থ নারীদের উপহার বিতরণ করা হয়।
উপহার প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। এছাড়া ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব ও জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর আলোকপাত করেন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন।