রুবানা হক বলেন, প্রতি মুহূর্তে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে তাদের ক্রেতারা ক্রয় আদেশ স্থগিত করছেন। তারা বলছেন স্থগিত, তবে আমাদের জন্য এটি স্থগিত নয় বাতিল। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত দেশের তৈরি পোশাক খাতের এক হাজার ৯৭টি কারখানার ৯৪ কোটি ৫৩ লাখ ১০ হাজারটি পোশাক পণ্যের আদেশ বাতিল ও স্থগিত করা হয়েছে। এর আর্থিক পরিমাণ ৩ দশমিক ১ বিলিয়ন বা ৩০১ কোটি মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ২৫ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা (বিনিময় হার ৮৫ টাকা ধরে)। আদেশ বাতিল হওয়া এসব কারখানায় ২১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি শ্রমিক কাজ করেন বলে জানান বিজিএমইএর সভাপতি।
এদিকে দেশের খাতের সিংহভাগ তৈরি পোশাকের ওপর নির্ভরশীল। তাই এ খাতের নেতিবাচক প্রভাব পুরো বাণিজ্যে আঘাত হানে। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) পোশাক করে বাংলাদেশ আয় করেছে ২ হাজার ১৮৪ কোটি ৭৪ লাখ ডলার যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ কম। একই সময়ে প্রবৃদ্ধিও কমেছে ৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
এদিকে পোশাক ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনাভাইরাসের কারণে আমেরিকা, ইউরোপ ও কানাডা লকডাউন হয়ে আছে। ফলে প্রত্যেক দেশের ক্রয় আদেশগুলো স্থগিত করে বার্তা পাঠাচ্ছে দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোতে। এতে করে বড় সংকটের মুখে পোশাক খাত। ঝুঁকিতে পড়বে বাণিজ্য। তাই কঠিন এ সংকটময় মুহূর্তে বায়ারদের ক্রয় আদেশ স্থগিত না করার আহ্বান জানিয়েছেন পোশাক মালিকরা।