বেতন পরিশোধে রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠানের জন্য বিনা সুদে ঋণ

বেতন পরিশোধে রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠানের জন্য বিনা সুদে ঋণ
করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এখন এই প্যাকেজ থেকে বিনা সুদে ঋণ পাবে উৎপাদনের ন্যূনতম ৮০ শতাংশ পণ্য রপ্তানি করছে এমন সচল প্রতিষ্ঠান। ঋণের অর্থ দিয়ে কেবল শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা যাবে। সুদবিহীন এ ঋণে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ হারে সার্ভিসচার্জ নিতে পারবে ব্যাংকগুলো।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো নির্দেশনা বলা হয়েছে, রপ্তানি বাণিজ্যের ওপর করোনাভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় সচল রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানকে ঋণ, বিনিয়োগ প্রদানের উদ্দেশে অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাজেট বরাদ্দ হতে আর্থিক প্রণোদনা তহবিল গঠন করা হয়েছে।

এ তহবিল হতে বাংলাদেশ ব্যাংক বিনা সুদে বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংকের চাহিদা মোতাবেক ঋণ, বিনিয়োগ হিসাবে অর্থ প্রদান করবে। কেবল শ্রমিক-কর্মচারীদের সর্বোচ্চ তিন মাস বেতন, ভাতা পরিশোধের জন্য ঋণ, বিনিয়োগ গ্রহণ করতে পারবে। শুধু সচল রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠান এ তহবিল থেকে ঋণ সুবিধা পাবে।

যেসব শিল্প প্রতিষ্ঠান মোট উৎপাদনের ন্যূনতম ৮০ শতাংশ রপ্তানি করে তারা রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং যেসব প্রতিষ্ঠান তাদের শ্রমিক-কর্মচারীদের গত বছরের ডিসেম্বর, চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারির বেতন পরিশোধ করেছে তারা সচল শিল্প প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত হবে। আর রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রমাণের জন্য বাণিজ্য সংগঠনের (যেমন : বিজেএমইএ, বিকেএমইএ ইত্যাদি) প্রত্যয়নপত্র লাগবে।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, বেতনের অর্থ শ্রমিক-কর্মচারীর ব্যাংক হিসাবে লেনদেন করতে হবে। কোন প্রকার নগদ লেনদেন করা যাবে না। যেসব প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের ব্যাংক হিসাব নেই তাদের মালিক নিজ উদ্যোগে ব্যাংক হিসাব খুলে দেবেন। এসব হিসাবে কোন চার্জ আরোপ করতে পারবে না।

বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে বিনা সুদে এ তহবিল থেকে চাহিদা অনুযায়ী অর্থ দেবে। ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো তাদের প্রশাসনিক ব্যয় হিসাবে এককালীন দুই শতাংশ সার্ভিস চার্জ নিতে পারবে। ঋণ নেয়ার পর ৬ মাস গ্রেস পিরিয়ডসহ মোট ২ বছরে ১৮টি সমান কিস্তিতে ব্যাংককে সার্ভিস চার্জসহ ঋণ পরিশোধ করবে। ঋণের কিস্তি যথাসময়ে পরিশোধিত না করলে প্রচলিত নিয়মে শ্রেণীকরণ করতে হবে এবং খেলাপি হিসেবে বকেয়া কিস্তির ওপর ২ শতাংশ হারে দণ্ড সুদ আরোপ করা যাবে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

চারদিনের ছুটিতে ব্যাংক ও পুঁজিবাজার
ইসলামী ব্যাংকে এস আলমপন্থি ২০০ কর্মকর্তা বরখাস্ত, ওএসডি ৫ হাজার
বিশেষ যোগ্যতা মূল্যায়ন পরীক্ষা নিয়ে ইসলামী ব্যাংকের বক্তব্য
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের ৫৪ গ্রাহকের টাকা উধাও
পাঁচ ব্যাংক চূড়ান্তভাবে একীভূত করতে বসছে প্রশাসক
ডিজিটাল ব্যাংক খোলার আবেদনের সময় বাড়ল
একীভূতকরণে তিন ব্যাংকের সম্মতি, সময় চায় দুটি
একীভূত হতে রাজি গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক
ব্র্যাক ব্যাংকের নতুন এমডি ও সিইও হলেন তারেক রেফাত উল্লাহ খান
ঋণ, ওভারড্রাফট ও গ্যারান্টির জন্য মাস্টার সার্কুলার জারি