২০০৮ বেইজিং অলিম্পিক গেমসে স্বাগতিক হয়ে চীন সবাইকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি করা আসন দখল করে নিয়েছিল তারা। এরপর ২০১২ লন্ডন গেমস এবং ২০১৬ রিও গেমসেও শ্রেষ্ঠত্বের আসন দখলে ছিল চীনাদের।
এবারও প্রথম সপ্তাহের পর শীর্ষস্থান চলে যায় চীনাদের দখলে। এমনকি যে ডিসিপ্লিনে সবচেয়ে বেশি আধিপত্য যুক্তরাষ্ট্রের, সেই অ্যাথলেটিকস শুরু হওয়ার পরও চীনাদের দাপট ছিল অব্যাহত।
কিন্তু শেষ তিনদিনে ধীরে ধীরে পেছনে পড়ে যেতে থাকে চীনারা। এগিয়ে আসতে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। শেষ পর্যন্ত টোকিও গেমসের শেষ দিনে এসে বাজিমাত করলো মার্কিনীরা। শেষ দিন ছিল মোট ১৩টি স্বর্ণের লড়াই। এর মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জিতেছে ৩টি সোনা। চীনারা কিছুই জিততে পারলো না। যার ফলে আগের ৩৮টি নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে নেমে যেতে হলো তাদের। অন্যদিকে ৩৯টি স্বর্ণ পদক নিয়ে শীর্ষে উঠেই গেমস শেষ করলো যুক্তরাষ্ট্র।
শেষদিন যে ১৩টি ইভেন্ট ছিল, তাতে চীনাদের কিছুই জেতা সম্ভব ছিল না। অন্যদিকে অন্তত চারটি সোনা নিশ্চিত ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। এ কারণে তারা যে শেষদিন এসে শীর্ষে উঠে যাবে, এটা ধারণাই ছিল সবার। শেষ পর্যন্ত সেটাই হলো।
৩৯টি সোনার সঙ্গে ৪১টি রৌপ্য এবং ৩৩টি ব্রোঞ্জ পদকসহ মোট ১১৩টি পদক জিতেছে যুক্তরাষ্ট্র। ৩৮টি স্বর্ণের সঙ্গে ৩২টি রৌপ্য এবং ১৮টি ব্রোঞ্জসহ মোট ৮৮টি পদক জিতে চীনারা রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। ২৭টি স্বর্ণ ১৪টি রৌপ্য এবং ১৭টি ব্রোঞ্জপদক সহ মোট ৫৮টি পদক জিতেছে জাপান। তারা রয়েছে তৃতীয় স্থানে।