ডিএসই’র কাছে জামানত হিসেবে থাকা কোম্পানির ১২ কোটি ৭৫ লাখ ৩৪ হাজার টাকার চেক নগদায়ন করে এই সমন্বয় করতে হবে। এরপর এই তহবিল থেকে করতে হবে গ্রাহকদের পাওনা পরিশোধ। শুধু মূল টাকা নয়, প্রচলিত সুদ হারে সমন্বিত গ্রাহক হিসাবের বিপরীতে প্রযোজ্য সুদের পরিমাণ হিসাব করে, গ্রাহকদেরকে ওই সুদের অংশও পরিশোধ করতে হবে বলে সম্প্রতি বিএসইসি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে এই নির্দেশ দিয়েছে।
উল্লেখ, ২০১৭ সালের শেষভাগে শাহ মোহাম্মদ সগীর অ্যান্ড কোম্পানির বেশ কিছু গ্রাহক অভিযোগ করেন, কোম্পানিটি তাদের পাওনা টাকা দিতে টালবাহানা করছে। চাহিদাপত্র দিয়েও টাকা তুলতে পারছেন না তারা। আবার বেশ কিছু গ্রাহক তাদের বিও হিসাবে শেয়ার না থাকা ও ঘাটতি থাকারও অভিযোগ করেন। তাদের অভিযোগ, কোম্পানিটি তাদের অনুমতি না নিয়ে গোপনে এসব শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছে। এস অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা মেলায় ওই বছরের ১৩ অক্টোবর প্রতিষ্ঠানটির ডিপি লাইসেন্স স্থগিত করে ডিএসই। এরপর থেকে এই প্রতিষ্ঠানের সব ধরনের লেনদেন বন্ধ আছে। প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহকদেরকে লিংক অ্যাকাউন্ট করে অন্য ব্রোকারহাউজে তাদের শেয়ার সরিয়ে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু যাদের টাকা ও শেয়ারের ঘাটতি আছে তারা তাদের প্রাপ্য গত চার বছরেও পাননি।
এ অবস্থায় ডিএসইর পক্ষ থেকে আলোচিত ব্রোকারহাউজের গ্রাহকদেরকে তাদের সংরক্ষিত শেয়ার ও টাকার হিসাব জমা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। ডিএসইর পক্ষ থেকে গ্রাহকদেরকে আশ্বাস দেওয়া হয়, প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠানটির ট্রেক লাইসেন্স বিক্রি করে গ্রাহকদের পাওনা পরিশোধ করা হবে। তবে বাস্তবে এতদিন পর্যন্ত কিছুই ঘটেনি।
এ অবস্থা বিএসইসি স্টক এক্সচেঞ্জটিকে নির্দেশ দিয়েছে, তাদের কাছে থাকা ওই প্রতিষ্ঠানের দুটি চেক নগদায়ন করে গ্রাহকদের পাওনা পরিশোধের। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে আরো ঘাটতি আছে কি-না তা বিস্তারিত তদন্ত করে বিএসইসিকে জানাতে বলা হয়েছে। ঘাটতি ১২ কোটি টাকার বেশি হয়ে থাকলে বাকী ঘাটতি পূরণের জন্যেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে ডিএসইকে।
শাহ মোহাম্মদ সগীর অ্যান্ড কোম্পানির মালিকদের শেয়ার হস্তান্তর বা বিক্রির প্রক্রিয়া যথাযথভাবে সম্পন্ন হয়েছে কি-না সেটিও বিএসইসিকে নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।