সোমবার (৯ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে মতবিনিময়কালে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বিধিনিষেধ আরোপ করার পরেও দেখা যায় মানুষ মানছেন না। সেজন্য জাতীয় কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে ক্রমাগত লকডাউন (বিধিনিষেধ) সেটা সঠিক সমাধান নয়। জরুরি মুহূর্তে বিধিনিষেধ দিতে হয় এবং সে কারণেই শুরুতে বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছে। এখন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপরে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। তবে স্কুল কলেজ এখনই খুলছে না। পাশাপাশি সরকার গণটিকা কার্যক্রম শুরু করেছে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, অনেক উন্নত দেশে সবকিছু খুলে দেয়া হয়েছে। সেখানেও করোনা আছে, মারা যাচ্ছে। ইংল্যান্ডে হাজারো মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। তারপরেও খুলে দেয়া হয়েছে।
সম্প্রতি ইউরোপ সফরের উদাহরণ টেনে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি নেদারল্যান্ডে যখন গেছি তখন মাস্ক পরিধান করে মিটিং করেছি। কিন্তু যিনি অভ্যর্থনা জানিয়েছেন তিনি বলেছেন তারা এখন মাস্ক ব্যবহার করেন না। সেখানেও করোনা আছে। কিন্তু সবকিছু খুলে দিয়েছে। আমাদের দেশে সেটি করা সম্ভব নয় এবং উচিতও হবে না। সেজন্য মাস্ক পরিধান ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপরে গুরুত্ব দিচ্ছি। কিন্তু জীবিকাকে সচল রাখতে সরকার বিধিনিষেধ শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিধিনিষেধ শিথিল করা হলেও স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপরে জোর দেন সরকারের এই মন্ত্রী। তিনি বলেন, কেউ মাস্ক না পরলে যাতে সহজে জরিমানা করা যায় সেজন্য সরকার ভাবছে।