বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, বিশ্বের ৫২ দেশের ৬০০ হাসপাতালে ভর্তি থাকা করোনা রোগীরা এই ট্রায়ালে অংশ নেবেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ‘অপরিহার্য’ ওষুধের তালিকাভূক্ত আর্টিসুনেট প্রথম বাজারে আসে ১৯৭৭ সালে। চীনা রসায়নবিদ লিউ জু এই ওষুধটির আবিষ্কারক এবং বর্তমানে এই ওষুধটি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করছে ভারতের মহারাষ্ট্রভিত্তিক ওষুধ কোম্পানি ইপকা। গুরুতর অসুস্থ ম্যালেরিয়া রোগীদের চিকিৎসায় টিকা ও ট্যাবলেট উভয় আকারেই বিশ্বজুড়ে এই ওষুধটি ব্যবহার করছেন চিকিৎসকরা।
সাধারণভাবে ব্লাড ক্যান্সার নামে পরিচিত রোগ লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহার হয়ে আসা ইমাটিনিব প্রথম বাজারে আসে ২০০০ সালে। বেলজিয়ামের বহুজাতিক ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি নোভারটিস এই ওষুধটির প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এবং এটিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ‘অপরিহার্য’ ওষুধের তালিকাভূক্ত।
করোনা চিকিৎসায় বৈশ্বিক ট্রায়ালের তালিকায় থাকা তৃতীয় ওষুধ ইনফ্লিক্সিম্যাব আরথ্রাইটিস বা বাত রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য কার্যকর। চিকিৎসাগত প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য ১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও ১৯৯৯ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নে অনুমোদন পেয়েছে ওষুধটি। ওষুধ ও টিকা প্রস্তুতকারী বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান জনসন অ্যান্ড জনসন এই ওষুধটির প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান।