শুক্রবার তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কানাডা সরকারের জন্য কাজ করা হাজার হাজার আফগান, যেমন দোভাষী, দূতাবাসের কর্মী এবং তাদের পরিবারকে কানাডায় আশ্রয় দিতে এর আগে নেওয়া উদ্যোগের পাশাপাশি এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু তালেবানরা আফগানিস্তানের অধিকতর এলাকা দখল করে চলেছে এবং এতে করে অনেক আফগানের জীবন ক্রমবর্ধমান হুমকির মুখে রয়েছে তাই এমন পদক্ষেপ।’ তবে তিনি এর নির্দিষ্ট সময়সূচি সম্পর্কে কিছু জানাননি।
এছাড়া কানাডার প্রতিরক্ষামন্ত্রী হারজিত সজ্জন জানিয়েছেন, কানাডার কিছু সেনা আফগানিস্তানে মানুষজনকে স্থানান্তরের কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে। বিস্তারিত কিছু না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সেখানে এখন যে চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে তা অত্যন্ত প্রকট।’
মেনডিসিনো জানিয়েছেন, আফগানিস্তানে চলমান সহিংস পরিস্থিতিতে যারা ঝুঁকিতে রয়েছেন তারাই আপাতত বসবাসের সুযোগ পাবেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন নারীনেত্রী, মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক, নিপীড়নের শিকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও সমকামীরা।
সশস্ত্র বিদ্রোহীগোষ্ঠী তালেবানের হাতে পতন ঘটছে দুই দশকের যুদ্ধে বিধ্বস্ত আফগানিস্তানের। দেশটির নিরাপত্তাবাহিনীর সব ধরনের প্রতিরোধ ব্যবস্থা তালেবানের আক্রমণের কাছে ধরাশায়ী হয়েছে। তারা তালেবানের অগ্রযাত্রা থামাতে ব্যর্থ হয়েছে।
আফগানিস্তানে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ শহর দখল করছে তালেবান। কাবুল থেকে নিজ দেশের নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানে দুই দশকের মার্কিন উপস্থিতির প্রতীকী ও বিশৃঙ্খল সমাপ্তি ঘটছে।